শফিক আজাদ,উখিয়া :
উখিয়ায় এনজিওতে কর্মরত থেকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে আইএনজিও গুলো রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে কাজ করছে ক্যাম্পে। যার ফলে বিনা নোটিশে স্থানীয় ছেলে/মেয়েদের চাকরি চলছে ছাটাঁই। এনিয়ে চাকরিচ্যূত বেকার ছেলে/মেয়েদের মাঝে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ উত্তেজনা।
সূত্রে জানা গেছে, উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে কর্মরত এমএসএফসহ বিভিন্ন আইএনজি কোন প্রকার কারণ দর্শানো ছাড়াই চাকরি থেকে স্থানীয় ছেলে/মেয়ে বাদ দিয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়োগ দিচ্ছে। সম্প্রতি এমএসএফ পিসি লিয়াজন পদের একজন স্থানীয় ছেলেকে বাদ দিয়ে তার স্থলে নিয়োগ দিয়েছে আরেকজন রোহিঙ্গাকে। যা নিয়ে জেলার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও রোহিঙ্গারা সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্যে ঝুকে পড়েছে। প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় এসব রোহিঙ্গারা ব্যবসা বাণিজ্যের আড়ালে বিভিন্ন অপকর্ম করে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠছে বলেও নজির রয়েছে। তৎমধ্যে পুরাতন রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি। এমনকি রোহিঙ্গাদের ব্যাংক ব্যালেন্স, ঢাকা শহরে বাড়ি।
স্থানীয় অলি উল্লাহ নামের এক চাকরিচ্যূত যুবক জানান, এনজিওরা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা অজুহাত তুলে স্থানীয় ছেলেদের চাকরিতে অযোগ্য প্রমাণ করছে। অথচ একই পদে রোহিঙ্গা ছেলে/মেয়েদের কোন প্রকার অভিজ্ঞতা অথবা যোগ্যতা ছাড়াই নিয়োগ দিচ্ছে। বর্তমানে পুরাতন রোহিঙ্গাদের অনেকে বিভিন্ন এনজিওতে কর্মরত রয়েছে। তৎমধ্যে কুতুপালং জি-ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ ফারুক কর্মরত রয়েছে আইওএম (ঝগঊচ), তার ভাই উমর ফারুক আইওএম (ঝগঊচ) কর্মরত। একই ব্লকের বাসিন্দা ইদ্রিছ, নুরুল হাকিম, মাইনুল হাসান শান্ত, আবুল উসমান, মোহাম্মদ শরিফ, জাফর আহমদ মোহাম্মদ ইদ্রিছ, মোহাম্মদ জুবাইর (প্রকাশ মাস্টার জুবাইর), এরা সবাই আইওএম (ঝগঊচ)প্রকল্পে কর্মরত। এছাড়াও কুতুপালং, এ ব্লকের বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ মুহিব চাকরি করেন সে লাভ আর্মি তে, একই এনজিওতে চাকরি করেন সাইফুল ইসলাম নোমান, তুর্কি ভিত্তিক একটি এনজিওতে চাকরি করেন কুতুপালং বি ব্লকের বাসিন্দা মৌলভি নুর কামাল, শফিকুর রহমান, এনজিও (গঙঅঝ)এ কাজ করে ই ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিম, জমির হোসেন, মোহাম্মদ ইউনুছ, কুতুপালং জি ব্লকের মোহাম্মদ ইউনুছ আরমান তিনি প্রথমে ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল, ওখান থেকে কিছু টাকা পয়সা ডাকাতি করে নিয়ে এসে, তিনি (টঘঐঈজ) এর আইডি কার্ড নকল ও রোহিঙ্গাদের বিদেশ পাঠাবে বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এই অভিযোগ তাকে একাধিকবার জেলে যেতে হয়েছে। আবার নতুন ভাবে সে ইন্দোনিশিয়া ভিত্তিক একটি এনজিও (ঋঋঋঅ) এর সাথে কাজ করে লাখ টাকার বেতনে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুতুপালং ক্যাম্প ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিম জানান, কিছু কিছু এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের ভোলান্টিয়ার পদে নিয়োগ দেওয়ার তথ্য রয়েছে। তবে ভোলান্টিয়ারের কথা বলে উচ্চ বেতন চাকরি দিয়ে থাকলে সেটি অবশ্যই বেআইনি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-