অনলাইন ডেস্ক – চার্লস ওকাওয়ানি। পূর্ব আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার ‘গডস কল’ নামক গির্জার সাবেক পুরোহিত। তিনি ‘ওহিয়ে ইলাহি’ নামক গির্জায় প্রার্থনারত ৬৫ জন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীকে নিয়ে পবিত্র ধর্ম ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
‘ওহিয়ে ইলাহি’ নামক গির্জার স্থানে নির্মাণ করেছেন একটি মসজিদ। ইসলাম গ্রহণের আগে এ স্থানেই তারা এক সঙ্গে প্রার্থনা করতেন। তাই ইসলাম গ্রহণের পরও তারা এখানেই ইসলামের ইবাদত-বন্দেগি করতে নির্মাণ করেছেন মসজিদ।
ইসলাম গ্রহণের পর সাবেক এ পুরোহিত নিজের নতুন নাম ধারণ করেছেন ইসমাঈল ওকাওয়ানি। কেনিয়ার কিসি শহরের প্রখ্যাত আলেম মুস্তাফা সাউকা’র কাছে নিজের হৃদয়ের বিশ্বাস ও অন্তরঙ্গ অনুভূতি ব্যক্ত করে কালেমা শাহাদাতাইন পাঠের মাধ্যমে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
‘ওহিয়ে এলাহি’ গির্জার স্থানে মসজিদ নির্মাণে সহায়তা করেছেন তুরস্কের খাইরাত আল-বারাকাহ ফাউন্ডেশন।
মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ইসলাম গ্রহণ করে ইসমাঈল ওকাওয়ানি তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন এভাবে-
‘বিশপ হিসাবে আমার দায়িত্ব পালনের সময় আমি ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য কেনিয়ার মালিঙ্গি, মুম্বাস ও নাইরোবি শহরসহ তানজানিয়া ভ্রমণ করেছি।
সে সময় আমি এসব এলাকায় বসবাসরত খ্রিস্টান ও মুসলমানদের আচরণ সম্পর্কে অধ্যয়নের সুযোগ পেয়েছিলাম। আর এসব বিষয়ই আমাকে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করেছিল যে, ‘ইসলামই হচ্ছে সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম।’ আর এ জন্য আমি ইসলাম ধর্মের পতাকাতলে আশ্রয় নিয়েছি।
আমি আরো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি যে, ইসলাম সম্পর্কে অধিক তথ্য ও গবেষণা করতে পৃথিবীর যে কোনো স্থানে যদি সফর করতে হয়, তাহলে আমি সেই স্থানে সফর করে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করবো’
উল্লেখ্য যে, খ্রিস্টান সংখ্যাধিক দেশ কেনিয়ায় মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ মুসলিম বসবাস করে।
সাবেক পুরোহিত ‘চালর্স ওকাওয়ানি’সহ ওহিয়ে ইলাহি গির্জায় প্রার্থনাকারী সব ইসলাম গ্রহণকারীর প্রতি শুভকামনা…
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-