জাবেদ ইকবাল চৌধুরী॥
‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় সম্প্রতি দুটি ইয়াবা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে ইয়াবা তালিকাভুক্ত হিসেবে আমাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। যা শুধু আমাকে নয়, সহকর্মী, এলাকার সচেতন মহল এবং সংশ্লিষ্ট সরকারী বেসরকারী সংস্থার দায়িত্বশীলদেরও বিভ্রান্ত করেছে। ইয়াবা পাচার সংক্রান্ত রির্পোটই কি কাল হলো আমার এমন প্রশ্ন সবর্ত্র। টেকনাফ প্রেস ক্লাবের সভাপতি, টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি, সুজন টেকনাফ উপজেলা সভাপতি বা বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মকর্তা হিসেবে সংশ্লিষ্ট সভা সমাবেশে আমার বক্তব্য বা গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে আমার লেখনি মাঠ পর্যায়ের কতিপয় বর্ণচোরদের মনোবেদনার কারণ হয়ে দাড়াঁয়। সুবিধাভোগি এসব চক্রের ষড়যন্ত্রের শিকার আমি। ইয়াবা কারবারীর আত্বীয় স্বজন কারা কারা মিডিয়া কর্মী সেজেছে তা উপস্থাপন না করে, বা স্থানীয় প্রতিনিধিরা তাদের ইয়াবা সংক্রান্ত রির্পোটে একটি বারও কেন কাদের নাম অনেক বছর অনুচ্চারিত রেখেছে তার জবাব বের না করে যার সাথে দূরতম সম্পর্ক নেই সেই আমার নামই বা কেন জড়িয়ে দেওয়া হলো ? এটিও কি বর্নচোর কারও কৌশল? বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের মধ্যে বিভ্রান্তি জড়িয়ে সংবাদকে অন্তঃসার শূন্য করার একটি অপকৌশল মাত্র বৈকি।
বরং তদন্ত করা উচিত হবে, প্রথম আলো’র প্রতিবেদক দ্বয়ের কি সহায় সম্পত্তি ছিলো। টেকনাফ ও কক্সবাজার শহরে জমি, বাড়ী, গাড়ীর মালিক কিভাবে হলো। তারা কোন কোন ইয়াবা কারবারীকে বৈধ ভালো ব্যবসায়ী বানিয়ে কি কি হাতিয়ে নিয়েছে।
প্রথম আলো প্রতিনিধি’র সাথে বিরোধ
দৈনিক প্রথম আলো’ টেকনাফ প্রতিনিধি গিয়াস উদ্দিন ও কক্সবাজার প্রতিনিধি আব্দুল কুদ্দুস। দু’ জনের বাড়ী টেকনাফ। ওনারা শালা-দুলাভাই। আমার স্ত্রী ও আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী আপন মামাতো ফুফাতো বোন। সেই সুত্রে একজন আমার বড় শালা, অপর জন বড় ভাইরা। গিয়াস উদ্দিন ছাত্রদল ও আব্দুল কুদ্দুস জাসদ ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো এক সময়। আর আমি ছাত্রলীগের সাথে যুক্ত ছিলাম। কেনো আমার সাথে ওই পরিবারের বিরোধ তার কিছু অংশ এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন মনে করছি।
১৯৯৩ সালের জানূযারি মাসে টেকনাফ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। আব্দুল কুদ্দুস প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক আর আমি প্রতিষ্ঠাতা অর্থ সম্পাদক। পরবর্তীতে প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছৈয়দ হোসাইনের সাথে সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুসের মধ্যে ক্লাবের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মত বিরোধ শুরু হয়। আমি নৈতিক কারনে সভাপতির পক্ষে অবস্থান নিই। শুরু হয় বিরুধের সুত্রপাত।
এরপর বিগত ২০০৩ সালে সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে শাহপরীরদ্বীপ সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে সাংবাদিক আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী তফরিদা খানম ডলি আমার স্ত্রী আয়েশা বেগমের নিকট পরাজিত হন বিপুল ভোটে।
এছাড়া বিগত ২০০৯ সালে টেকনাফ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমি যখন ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করি তখন আবদুল কুদ্দুসের শ্বশুড় ও গিয়াস উদ্দিনের পিতা জালাল উদ্দিন একই পদে আমার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লাগে।
যুদ্ধাপরাধ মামলার আসামী প্রথম আলো প্রতিনিধি’র পিতা
সাবরাং ইউনিয়নের আচারবনিয়া গ্রামের বাসিন্দা জনৈক বেচা আলী বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় ১৯৭১ সালের মানবতা বিরুধী অপরাধের অীভযোগে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার প্রধান আসামী হয় জালাল উদ্দিন। ওই মামলার নিউজটি আমার তৎকালীন কর্মস্থল সুপ্রভাত বাংলাদেশ ও দৈনিক ভোরের কাগজে ছাপায়। যদিও এ ঘটনার নিউজ কক্সবাজারের স্থানীয় কোন প্রত্রিকা বা অন্য কোন গণমাধ্যমে দেখা যায়নি।
এসব কারনে প্রথম আলো প্রতিনিধিদ্বয় আমার উপর বেশ ক্ষুদ্ধ। যেহেতু জালাল উদ্দিন একজনের পিতা ও অপর জনের শ্বশুড়। তাই বিভিন্ন ভাবে আমাকে মাদক সংশ্লিষ্ট বানানোর তালে উঠে পড়ে লেগে থাকে। এতে মাঝে মধ্যে ওনারা সফলও হন। যা সাময়িক। কারণ আমি প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি যে, এমন কোন আমার আপন ভাই, ভাগিনা বা ভাইপো নেই। যারা কি না মাদকের সাথে কেনো যে কোন রাষ্ট্র বিরুধী অপরাধের সাথে যুক্ত। বরং ৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধের সময় বীরত্বের সাথে সংগ্রাম করেছে আমার পরিবার। বড় ভাই সদ্য মরহুম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তৎকালীন সময়ে ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন ও মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেও কোনদিন রাস্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেননি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আদর্শে লালিত স্বপ্নে বিভোর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেও প্রতি অবিচল আস্থাশীল একজন নগন্যকর্মী হিসেবে বেড়ে উঠা রাজনীতির মাঠের কর্মী আমি। জীবনে নেতা দাবী করিনি। গড়ে আর্থির সুযোগ সুবিধার পাহাড়। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সাংঘর্ষিক যে কারো সাথে আমার বিরোধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। এখানেও তাই হয়েছে মাত্র।
পেছনে ফিরে দেখা
আমি এখানে পেছনের একটি ঘটনা তুলে ধরতে চাই। পেশাগত কারনে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা পাচার সংক্রান্ত একটি বস্তুনিষ্ট রিপোর্ট বিগত ২০০৯ ইং সনের মাঝামাঝি সময়ে দেশ টিভি চ্যানেলে অনইয়ার (প্রদর্শিত) হয়েছিল। এ রিপোর্টটি দেশ টিভির সিনিয়র রিপোর্টার আতিক রহমান খাঁন পূর্নিয়া ও আমি টেকনাফ প্রতিনিধি হিসেবে যৌথ ভাবে তৈরী করেছিলাম। রিপোর্টটি প্রদর্শিত হওয়ায় তৎকালীন সময়ে রহস্যজনকভাবে এক সপ্তাহ যাবৎ টেকনাফে দেশ টিভি সম্প্রচার বন্ধ ছিল। বিষয়টি তৎকালীন টেকনাফ ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোজাম্মেল হক ও ডিজিএফআই ইনচার্জকে অবহিত করা হলে পরবর্তীতে তাদের সহযোগীতায় দেশটিভি সম্প্রচার পূনঃরায় চালু করা হয়। এছাড়া পেশাগত কারনে সীমান্তের অপরাধী চক্রের সাথে আমার সম্পর্ক কখনো মধুর ছিল না। অপরাধী ও অপরাধ জগতের দোষরদের কাছে আমি ছিলাম আতংক। তখন থেকে ইয়াবা চক্রটি আমার পিছু নেয়। এই চক্রটির সাথে জেলা শহরে অবস্থানকারী জাতীয় দৈনিকের কোন প্রতিনিধি ও টেকনাফের কোন প্রতিনিধি জড়িত তা কারো অজানা নয়। যিনি অনেক চিহিৃত ইয়াবা ব্যবসায়ীর গডফাদার বলে মাঠে প্রচার রয়েছে।
আমার চাওয়া প্রকাশিত রির্পোট দেখে আমি মোটেও বিচলিত নই। আমি মর্মাহত, শংকিত তবে ভীত নই। কারণ এর আগেও বেশ ক বার আমাকে এভাবে মানসিক ভাবে দূর্বল করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব লেখনিতে আমার বরং সাহস ও শক্তি বেড়ে যায়। কারন আমি জানি ষড়যন্ত্র করে মানুষকে সাময়িক কষ্ট দেওয়া যায়। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায় । কবির ভাষায় বলতে হয়, “সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালবেসেছিলাম, সে করেনা কখনো বঞ্চনা। ”
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থেকে শুরু করে জেলা শহর কক্সবাজার, এমনকি দেশ বিদেশেও আমাকে ব্যক্তিগত ভাবে অনেকেই চেনেন ও জানেন। আমি টেকনাফ উপজেলাধীন পৌর এলাকার কুলালপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। পেশাগতভাবে ১৯৯১ সাল থেকে সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত রয়েছি। বর্তমানে চ্যানেল নাইন, বাংলাদেশের খবরসহ গণমাধ্যমে কর্মরত আছি। এর আগে কক্সবাজার জেলা থেকে প্রকাশিত স্থানীয় পত্রিকা সাগরকন্ঠ, দৈনিক কক্সবাজার, আজকের দেশ-বিদেশ , দৈনিক সৈকত, কক্সবাজার বাণী, চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত আঞ্চলিক পত্রিকা বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ ও সুপ্রভাত বাংলাদেশ এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজকের কাগজ ,ভোরের কাগজ ও কালের কন্ঠ পত্রিকায় টেকনাফ প্রতিনিধি হিসেবে পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করেছি। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে স্থানীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও এনজিও সংস্থায় চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করছি। এছাড়া একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবেও সব সময় চেষ্টা করেছি অসহায় ও বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার। সব সময় চেষ্ট করেছি সৎভাবে জীবন যাপন করার। যে কোন ধরনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমি ছিলাম আপোষহীন ও সোচ্চার।
টেকনাফের মত জায়গায় ক্ষমতাসীন দলের একজন পৌর শাখার সভাপতি হিসেবে আমি অঢেল বিত্তবৈভবের মালিক হতে পারতাম। কিন্তু অতিলোভী নই বলেই সাধারণ জীবন যাপন করে থাকি। সাধারণের কল্পনারও বাইরে আমার জীবন জীবিকা নির্বাহ করতে হয় নীতিগত কারনে। আমার পরিবারের সদস্য বা আমার সহকর্মী যারা কিনা প্রতিনিয়ত আমার পাশে থেকে সংবাদ তৈরীতে ব্যস্ত থাকে শুধু এরাই জানে আমার আর্থিক সক্ষমতা।
আমি সাংবাদিকতার ভেতন-ভাতা, সভা সেমিনারে প্রাপ্য অর্থ দিয়ে আমার সংসারের খরচ নির্বাহ করে থাকি।
কিন্তু অত্যন্ত দূঃখ ও পরিতাপের বিষয়, রির্পোটে ইয়াবা সংশ্লিষ্ট হিসাবে আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যা দেখে আমি চরমভাবে হতবাক ও বিষ্মিত। আমার মনে হয়েছে, ইয়াবাসহ চোরাচালান ও অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে অবস্থান, লেখালেখী এবং বিভিন্ন সভা-সমাবেশে এসব বিষয়ে জোরালো বক্তব্য রাখায় অপরাধী চক্র ও জেলা শহরে অবস্থানকারী তাদের গডফাদাররা অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় পেশাদার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নামের তালিকায় আমার নামটিও যুক্ত করেছে। চক্রটি আমার সামাজিক দৃঢ় অবস্থানকে দূর্বল এবং রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক ভাবে হেয় করার জন্য এ কাজটি করেছে। এতে করে তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার সততা ও অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছে। কালিমা লেপন করে একজন পেশাদার সংবাদকর্মীকে কলংকিত করার হীনতা প্রকাশ করেছে এ চক্রটি।
এ ঘটনায় আমি যত না বিব্রত, তার চেয়ে বেশী ক্ষুব্ধ আমার সহকর্মীদের উপর। কারণ আমার সংবাদকর্মী বন্ধুরা কোন বাচ-বিচার না করে শুধুমাত্র কথিত তালিকার অজুহাত দিয়ে পত্রিকায় আমার নামটি ছাপিয়েছে। আমার কথা হচ্ছে, প্রশাসনের কতিপয় দায়িত্বশীল কারো সরবরাহ করা ভূল তথ্যের কারনে ভূলভাবে তালিকা প্রনয়ন করতে পারে। সেই ভূল পথে হাটা কি আমাদের উচিত? নাকি যাচাই বাচাই করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করা আমাদের দায়িত্ব?
এর আগেও বেশ ক’বছর আগে আমাকে এভাবে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। তখন আমি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত দরখাস্ত পাঠিয়েছিনাম। বিভিন্ন সংস্থা তা তদন্ত করে এ ধরনের হীন কাজে আমার সামান্যতম সংশ্লিষ্ট পায় নি বলে প্রতিবেদন পাঠিয়েছিলেন। এখনো আবেদন রইলো, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে আমার সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করুক। না হয় যাদের প্রচোরনায় বা যাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে, যারা এই হীন কাজটি করেছেন, এর বিচার করুক। সৃষ্টিকর্তার সেই বিচার থেকে কেউই রেহায় পাবেন না!
সব শেষে আমি স্পষ্ট এবং দৃঢ় কন্ঠে জানাতে চাই, প্লিজ এভাবে মিথ্যা তথ্য ছাপিয়ে কাউকে যন্ত্রনা দেবেন না। আসুন, আপনারা টেকনাফ ভিজিট করুন। আমার বাড়ী গাড়ি, সহায় সম্পত্তি, ব্যাংক ব্যালেন্স কি রয়েছে আবিস্কার করুন। আমার পরিবার বা ঘনিষ্ট আতœীয় স্বজনদের মধ্যে কেউ ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত কিনা দেখুন। প্রকৃত সত্য আপনাদের লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরুন।
লেখক: এমএ(বাংলা), সভাপতি, টেকনাফ পৌর আওয়ামীলীগ, সাবেক সভাপতি টেকনাফ প্রেস ক্লাব, সাবেক নির্বাচিত অভিভাবক সদস্য (৩বার) টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, সভাপতি, সুশাসনের জন্য নাগরিক(সুজন), সভাপতি, টেকনাফ উপজেলা যুব উন্নয়ন পরিষদ, প্রধান উপদেষ্টা, নাফ ইন্টার গ্রুপ, সাধারন সম্পাদক, টেকনাফ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরাম, নির্বাচিত সদস্য, টেকনাফ উপজেলা ট্রাক মিনি ট্রাক চালক শ্রমিক সমিতি, উপজেলা কোম্পানী কমান্ডার, বাংলাদেশ আনসার, সদস্য, উপজেলা বন ও পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষন কমিটি , আজীবন সদস্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও উপকূলীয় ফাউন্ডেশন
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-