কক্সবাজার জার্নাল ডটকম :

‘গডফাদারদের’ কাছ থেকে আদেশ পাওয়ার পর মিয়ানমারের এক ডজন ‘ইয়াবা’ ব্যবসায়ী বাংলাদেশে ইয়াবার চালান পাঠিয়েছে”।
মিয়ানমারে উৎপাদিত মাদক বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এই পথে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের পণ্য পাচার হয়ে আসছে। বাংলাদেশ সরকার একটি আত্মসমর্পণ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যেখানে মাদক পাচারকারীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে যদিও তাদেরকে আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হতে হবে।
এই আত্মসমর্পণের বড় দিক হলো, এখানে আত্মসমর্পণ না করে ব্যবসা অব্যাহত রাখলে পরিণতি অনেক ভয়াবহ হবে। ফিলিপাইনের মতো ঢাকাও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে পারে, এ ধরনের রিপোর্টের ভিত্তিতে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
যারা আত্মসমর্পণ করেছেন, তাদের মধ্যে দশজন স্থানীয় নির্বাচিত রাজনীতিবিদ, ৩৫ জন তথাকথিত ‘গডফাদার’ এবং বাকিরা মাদক বিক্রেতা। এদিকে, বাংলাদেশ ডিপার্টমেন্ট অব ন্যারকোটিক্স কন্ট্রোল বলেছে, ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৬ দিনে শুধুমাত্র টেকনাফ থেকেই ৮২০০ বড়ি আটক করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে বর্তমানে মাদকাসক্তের সংখ্যা এক মিলিয়নের কাছাকাছি চলে গেছে এবং এই সঙ্কট মহামারি পর্যায়ে চলে গেছে। এই সমস্যা সমাধানের একটি পদক্ষেপ হিসেবে এই আত্মসমর্পণ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
পত্রিকাটির মতে মাদকাসক্তি দমনে অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নজরদারি বাড়ানো, মাদক পাচারকারীদের সাথে যে সব পুলিশের যোগাযোগ রয়েছে, তাদের বদলির উপর নজর রাখা, এবং মিয়ানমার বর্ডার পুলিশের মধ্যে যারা মাদক পাচারে জড়িত বলে সন্দেহ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া।
বাংলাদেশের সীমান্ত কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন যে, রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প ‘মাদকের রাজ্যে’ পরিণত হয়েছে এবং সেখানে অর্থ, মাদক এবং অবৈধ সম্পর্ক নিয়ে সঙ্ঘাত সংঘর্ষ বাড়ছে”।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-