সন্ধ্যার পর কক্সবাজার যেনো ভুতুড়ে শহর

ডেস্ক রিপোর্ট – সন্ধ্যার পর কক্সবাজার শহরে পর্যটকদের করার কিছু থাকে না। পুরো শহর ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। আমরা মেরিন ড্রাইভ তৈরি করেছি। সেটা অন্ধকার থাকে। বিচে নিরাপত্তা নাই, শহরেও নিরাপত্তা নাই। এটা আমি যাই বলেই জানি। এর পরিবর্তন আনতে হবে। এটা আমি বলার জন্য বলছি না। আমি মিন করছি।’

উপরের বক্তব্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

এসময় তিনি সওজের প্রকৌশলীদের কাছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার চার লেন মহাসড়ক প্রকল্প ও মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ প্রকল্পের অগ্রগতির কথা জানতে চান।

মন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যার পর (কক্সবাজার) ওখানে কিছু করার থাকে না। পুরো শহর ভুতুড়ে শহরে পরিণত হয়। তখন শহরের নিরাপত্তাও থাকে না, বিচেরও নিরাপত্তা থাকে না। মেরিন ড্রাইভের পাশে লাইটিং করে বিনোদনের ব্যবস্থা করতে হবে। মেরিন ড্রাইভের পাশে ওয়াকওয়ে তৈরি করতে হবে। সিনে কমপ্লেক্স তৈরি করতে হবে। চা-খাওয়ার স্থান তৈরি করতে হবে।

তিনি বলেন, এটা তাড়াতাড়ি তৈরি করা দরকার। আমরা সাগর পাড়ে যাই। অথচ শহরটি সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে শহর হয়ে যায়। অথচ এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও লম্বা বিচের শহর।

কাদের বলেন, মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের প্রস্তুতি চলছে। তবে আমি চাই, আগে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কটি চার লেন করা হোক। জাপান সরকার এটায় বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) এর মাধ্যমে এটা করার কথা।

তিনি বলেন, আমরা একটি মেরিন ড্রাইভ বানিয়েছি। কিন্তু তা সংকীর্ণ। মিরসরাই-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ প্রশস্ত করতে হবে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভকেও প্রশস্ত করতে হবে। কক্সবাজার লিংক রোড থেকে লাবনী পয়েন্ট পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের টেন্ডার দ্রুত সময়ের মধ্যেই হবে। সায়মন পয়েন্ট থেকে হ্যাচারির মোড় পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভের ২ কিলোমিটার বিলীন হয়ে গেছে। ৭৬ কোটি টাকায় এটা নির্মাণের প্রকল্প পরিকল্পনা কমিশনে আটকা আছে। এটা বের করে আনতে হবে।

আরও খবর