গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী চট্রগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ ওসি’র সম্মাননা পেয়েছেন টেকনাফ মডেল থানার(ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ,(বিপিএম-বার)।
১৯ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার চট্রগ্রাম রেঞ্জের কর্মরত পুলিশ বাহিনীর মাসিক ক্রাইম কনফারেন্সে থানা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার,ওয়ারেন্ট তামিল, মাদক কারবারীদের দমন করাসহ নিজ নিজ এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা ও কঠোর ভূমিকা রাখায় টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ (বিপিএম)-কে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক (বিপিএম) আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রেষ্ঠ ওসি’র সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সহ চট্রগ্রাম পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ১৯ অক্টোবর ওসি প্রদীপ কুমার টেকনাফ মডেল থানায় যোগদান করেন করেন। তিনি যোগদানে পর থেকে টেকনাফ উপজেলা থেকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার জন্য গত ৪/৫ মাস ধরে সাঁড়াশী অভিযান পরিচালনা করেন।
উক্ত সময়ের মধ্যে তিনি অত্র উপজেলা থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
পাশাপাশি উক্ত অভিযানে গত ৪ মাসে আইন-শৃংখলা ও মাদক কারবারীদের দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ৫৪ জন মাদক পাচারকারী নিহত হয়েছে।
এরপর থেকে অত্র এলাকার মাদক পাচারে জড়িত অপরাধীদের কাছে ওসি প্রদীপ এক মুর্তিমান আতংক হিসাবে পরিচিত হয়ে উঠে।
তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়,তিনি টেকনাফ মডেল থানায় যোগ দেয়ার পূর্বে কক্সবাজারের মহেশখালি থানা,উখিয়া থানা, সদর মডেল থানা,চট্টগ্রামের পতেঙ্গা,পাঁচলাইশ ও বায়েজিদ বোস্তামি থানায় কর্মরত ছিলেন।
১৯৯৬ সালে চাকুরীতে যোগদান করা এই পুলিশ কর্মকর্তা কর্ম জীবনে অসাধারন সাহসিকতার সহিত দায়িত্ব পালন করেন।
তার কর্মক্ষেত্রে ধারাবাহিক সফলতা নিয়ে তিনি গত কয়কদিন আগে পুলিশ বিভাগের সর্বোচ্চ সম্মাননা পুরস্কার বিপিএম পেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে তিনি এই পুরস্কারটি আদায় করেন। এর আগে আইজিপি ব্যাচ পেয়েছেন দুই বার। জাতীয় শান্তি রক্ষা পদক পেয়েছেন একবার।
অবশেষে ১৯ ফেব্রুয়ারী সকালে তিনি মাদক পাচার প্রতিরোধ, কারবারীদের দমন ও অস্ত্র উদ্ধারে অসাধারন সাফল্য অর্জন করে আদায় করে নিলেন চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের শ্রেষ্ঠ ওসি’র সম্মননা ক্রেস্ট।
কর্মক্ষেত্রে ধারাবাহিক এই সফলতার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় কর্মরত (ওসি)প্রদীপ কুমার দাশ বিপিএম-বার অভিমত প্রকাশ করে কক্সবাজার জার্নালকে বলেন, চট্টগ্রাম রেন্ঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ.বি.এম মাসুদ হোসেন বিপিএম সহ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি গভীর ভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-