বার্তা২৪ :
রোহিঙ্গা নগরিক আবদুল রহিমের কাছ থেকে ইয়াবা এনে বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেন টেকনাফের সাইফুল করিম। তিনি ইয়াবা কারবারের মুল হোতা। পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় বিদেশে পলাতক। সাইফুল বর্তমানে দুবাইতে রয়েছেন। সেখানে বসেই টেকনাফের ইয়াবা নিয়ন্ত্রণ করছেন।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফে ১০২ ইয়াবা কারবারি আত্মসমর্পণ করলেও সাইফুল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা কেউ আত্মসমর্পণ করেননি।
পুলিশের ভাষ্যমতে, সাইফুল করিম আর্ন্তজাতিক ইয়াবা কারবারিদের মধ্যে একজন। দেশের এই চক্রের মূল হোতা হচ্ছেন টেকনাফর সাইফুল করিম। তার ভাই মাহবুবুল করিম, রেজাউল করিম মুন্না ও রাশেদ করিম। এছাড়াও রয়েছেন জুবায়ের ওরফে রিদুয়ান, কামরুল হাসান। এদের সাথে রয়েছেন আরও চার জন, যারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করছেন। রিদুয়ান পুলিশের হাতে গ্রেফতার রয়েছেন। এলাকায় এদেরকে শিল্পপতি হিসেবে মানুষ চেনেন।
চট্টগ্রাম গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপ-কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসেন বলেন, ‘ইয়াবা পাচারের আর্ন্তজাতিক চক্রকে শনাক্ত করেছি। যারা ফ্লাইটের মাধ্যমে বিদেশে ইয়াবা পাচার করেন। তারা একেক জন শিল্পপতি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। কোটি টাকার মালিক এ ইয়াবা গডফাদাররা গ্রেফতার এরাতে দেশে আসেন না। বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। বিদেশ থেকেই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন। এদের একেক জনের বিরুদ্ধে ৩০ থেকে ৪০টি ইয়াবা মামলা রয়েছে।’
চট্টগ্রামের নগর ডিবি পুলিশের তথ্য মতে, রোহিঙ্গা নগরিক আবদুল রহিমের কাছ থেকে বাংলাদেশের মাফিয়ারা ইয়াবা ক্রয় করে। দেশের এই চক্রের মুল হোতা হচ্ছেন টেকনাফর সাইফুল করিম। তার তিন ভাই ও অন্যরা ফ্লাইটের যাত্রীদের মাধ্যমে বিদেশে পাটিয়ে দেন ইয়াবাগুলো।
২০১৮ সালের ৩ মে চট্টগ্রামের হালি শহর এলাকা থেকে ১৩ লাখ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সময় এ বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারে মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পরবর্তীতে ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর থেকে ঐ ইয়াবা চালানের গডফাদার রেদুয়ান ওরফে জুবায়েরকে (৫৫) গ্রেফতার করে চট্টগ্রামের ডিবি পুলিশ। জুবায়ের মালয়েশিয়া পালাতে চেয়েছিলেন। তার দেওয়া তথ্যমতে, বিদেশে ইয়াবা পাচারে বিষয়টি স্পষ্ট হয় পুলিশের কাছে। উদ্ধার হওয়া ইয়াবাগুলোও বিভিন্ন দেশে পাঠানোর পরিকল্পনা ছিল গডফাদারদের।
ডিবি পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে ইয়াবা পাচার করে আসছে সাইফুল করিম সহ তার ভাইয়েরা। এদের ধরতে পারলে ইয়াবা পাচার বন্ধ হয়ে যাবে।’
মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘১০ জনের নাম পেয়েছি। যারা ইয়াবা ব্যবসা করে শিল্পপতি হয়েছেন, কিন্তু তাদের কেউ আত্মসমর্পণ করেননি।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-