মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

ডেস্ক রিপোর্ট – মাদক ও অস্ত্র সংক্রান্ত মামলার তদন্ত তদারকিতে ‘মনিটরিং সেল’ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

পুলিশের আইজি ও সকল এসপিকে এ আদেশ বাস্তাবায়নের জন্য বলা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত ৩০ দিনের মধ্যে শেষ করতে সংশ্নিষ্ট তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে যারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে পারবেন না, তাদেরকে সে বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার নরওয়ে প্রবাসী ড. নুরুল ইসলাম শেখের আগাম জামিন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।

এ ছাড়া আদেশে ওই প্রবাসীকে মাদক মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টার কারণে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার এসআই মো. আব্দুল হালিমকে সর্তক করার পাশাপাশি তাকে ওই থানা থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রত্যাহারের জন্য গাজীপুরের এসপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুনানিতে প্রবাসী নুরুল ইসলামকে মিথ্যা মামলায় হয়রানির ঘটনায় পুলিশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, যথাযথ তথ্য প্রমাণ ছাড়া মাদক মামলায় একজন আসামি কারও নাম বললেই তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া যাবে না।

এ ঘটনাকে দু:খজনক উল্ল্লেখ করে আদালত আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনায় দেশের জন্য কেউ কাজ করতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। বরং যারা দেশের জন্য সামাজিক কাজে যুক্ত তাদেরকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন

আদালতে নুরুল ইসলাম শেখের জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী। অন্যদিকে এসআই আব্দুল হালিমের পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটনি জেনারেল জাহিদ সারওয়ার কাজল।

গত বছরের ২৯ নভেম্বর এসআই মো. আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ দশ পিস ইয়াবাসহ রাজু আহমেদ নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে। পরে রাজু আহমেদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে প্রবাসী নুরুল ইসলামসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এরপর নুরুল ইসলাম ওই মামলায় আগাম জামিন চাইতে হাইকোর্টে আবেদন করেন।

আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালত দেখতে পান, নুরুল ইসলাম একজন নরওয়ে প্রবাসী এবং পিএইচডি ডিগ্রী হোল্ডার। পরে দশ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় তাকে অভিযুক্ত করার বিষয়টি আদালত তদন্তের নির্দেশ দেন।

তিনি জানান, আদালতের ওই আদেশের এক সপ্তাহের মধ্যে নুরুল ইসলামকে অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে এ মামলার বাদী জয়দেবপুর থানার এসআই আব্দুল হালিমকে হাইকোর্ট তলব করেন। এরপর মঙ্গলবার ওই এসআই হাজির হলে তাকে সতর্ক করে দিয়ে আদালত নুরুল ইসলামের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন

আরও খবর