টেকনাফ সীমান্তে ফের মানবপাচারকারীরা সক্রিয়

মাদক ও মানবপাচারে সক্রিয় অসাধু রোহিঙ্গারা চক্রঃ ভোক্তভোগী হচ্ছে স্থানীয়রা

গিয়াস উদ্দিন ভূলু: কক্সবাজার জার্নাল

উখিয়া-টেকনাফে বসবাসকারী অসাধু রোহিঙ্গা চক্র মাদক পাচারসহ নানা অপকর্ম জড়িত হয়ে পর্যটন নগরী সীমান্ত শহর উখিয়া-টেকনাফবাসীকে বিপদ গ্রস্ত করছে। পাশাপাশি এই রোহিঙ্গাদের নানা অপকর্মের দ্বায়ে স্থানীয়রা ভোক্তভোগী হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, চলতি বছরে রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য স্বদেশ প্রত্যাবাসন এড়াতে এক শ্রেনীর অসাধু রোহিঙ্গারা নিত্য- নতুন কৌশল হাতে নিয়েছে। তাদের আসল উর্দ্দেশ্য হচ্ছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করা। এদিকে আদম পাচারে জড়িত এক শ্রেনীর অসাধু রোহিঙ্গা চক্রের পাল্লায় পড়ে অবৈধ পথে মালয়েশিয়া পাড়ি দিতে ক্যাম্প ছেড়ে পালাচ্ছে শত শত রোহিঙ্গা।

সেই সুত্র ধরে গত কয়েক দিনে অবৈধ ভাবে সাগর পথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতিকালে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যদের হাতে ৭০ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু আটক হয়েছে। তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, মানব পাচারে জড়িত দালালরা অসহায় রোহিঙ্গাদের নারী-পুরুষদের ভুল বুঝিয়ে এই অপকর্ম চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সেই ধারাবাহিকতায় টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রাতের অন্ধকারে বিদেশ পাড়ির চেষ্টাকালে আরো ২২ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছে টেকনাফ ২ বিজিবি।

জানা যায়,গত ১০ ফেব্রুয়ারী রাত পৌনে ৯টার দিকে টেকনাফ ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের সাবরাং খুরের মুখ অস্থায়ী ক্যাম্পের হাবিলদার তাজুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ টহল দল নিয়ে উত্তর লম্বরী ঘাট সংলগ্ন জঙ্গলাকীর্ণ এলাকায় নৌকার জন্য অপেক্ষামান অবস্থায় কুতুপালং ক্যাম্পের ৬জন মহিলা ও ৮জন শিশু এবং বালুখালী ক্যাম্পের ১জন পুরুষ, ৪জন নারী ও ৩জন শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

তাদেরকে জিজ্ঞাসাদ করে এই ঘৃন্য আদম পাচারে কারা জড়িত। সেই সমস্ত দালালদের আইনের আওতাই নিয়ে আসা হবে।

উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদের আইনী প্রক্রিয়া শেষ শরনার্থী ক্যাম্পে হস্তান্তর করার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।