ক.জার্নাল ডেস্ক :
রোহিঙ্গাদের সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন দেশি-বিদেশি এনজিওর বিরুদ্ধে রোহিঙ্গা নারী ও শিশুদের পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তবে এসব অভিযোগ প্রশাসন বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গুরুত্ব তেমন দিচ্ছে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ধরনের পাচারের সময় একটি এনজিওর গাড়ি থেকে স্থানীয় জনতা তিনজন রোহিঙ্গা নারী ও দুইজন পুরুষকে আটক করে উখিয়া থানায় সোপর্দ করেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ- কর্মী সাজিয়ে এনজিওগুলো রোহিঙ্গা নারী, পুরুষ ও শিশুদের বিভিন্নভাবে পাচার করে আসছে অনেকদিন ধরে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উখিয়া বাস স্টেশনের মসজিদ মার্কেট এলাকায় হিউম্যানি টেরা নামক একটি এনজিও’র গাড়ি থেকে স্থানীয় লোকজন পাঁচজন রোহিঙ্গাকে আটক করে। উক্ত এনজিওর মাইক্রোবাসে তাদের কর্মীদের সাথে মিশিয়ে এ রোহিঙ্গাদের অজ্ঞাত স্থানে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী রমজান আলী সওদাগরসহ লোকজন বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের সেবার নামে নিয়োজিত এনজিওগুলো ছদ্মবেশে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে আসছে। গতকাল সন্ধ্যায় এ ধরনের একটি এনজিওর গাড়ি মসজিদ মার্কেটের সামনে পার্কিং করলে ওই গাড়িতে স্থানীয় লোকজন সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসা করলে কুতুপালং ক্যাম্প-৩ এর করিম উল্লাহ’র ছেলে মোঃ জুহা (৩০), বালুখালী-১ ক্যাম্পের জি-১৬ ব্ল্লকের কলিম উল্লাহ’র মেয়ের হুমাইরা (২০) একই ক্যাম্পের সোনা মিয়ার মেয়ে আরেফা বেগম (১৭), জামতলী ক্যাম্পের এ-৩ ব্ল্লকের আয়ুবুল হকের মেয়ে নুর বেগম (১৮) ও থাইংখালী ক্যাম্পের এফ-১০ ব্লকের মোঃ খলিলের ছেলে মোঃ আলী (১৬) নিজেদের রোহিঙ্গা বলে স্বীকার করে।
এ সময় সচতুর হিউম্যানি টেরা এনজিওর মাইক্রোবাস চালক দ্রুত রোহিঙ্গা নারী ও পুরুষদের গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়ে গাড়িটি (চট্টমেট্টো শ ০০-১২৫) নিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা ওই গাড়িতে থাকা গাড়ি চালক ও এনজিও কর্মীরা যোগসাজস করে এ রোহিঙ্গাদের পাচার করছিল। পরে স্থানীয় লোকজন উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীকে ফোনে জানালে তিনি দ্রুত উখিয়া থানা থেকে পুলিশ পাঠিয়ে ওই রোহিঙ্গাদের পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-