নির্ধারিত সময়ে নামাজ আদায়ে বান্দা লাভ করবেন চিরস্থায়ী জান্নাত। তবে বান্দাকে নামাজ পড়তে হবে প্রিয়নবির নির্দেশিত পথে ও মতে। যারা প্রিয়নবির নির্দেশ মতো নামাজ পড়বে তারাই চুড়ান্ত মুক্তি লাভ করবে। সুতরাং নামাজ পড়তে হবে গুরুত্বের সঙ্গে।
আল্লাহ তাআলা বান্দার সফলতার জন্য নামাজকেই চাবিকাঠি বানিয়েছেন। কুরআনে ঘোষণা করা হয়েছে-
‘অবশ্যই সেসব মুমিন সফলকাম হয়েছে; যারা তাদের নিজেদের নামাজে বিনয়াবনত।’ (সুরা মুমিনুন : আয়াত ১ ও ২)
আর যারা যথাযথভাবে নামাজ আদায়ে ব্যর্থ হবে তাদের অবস্থান হবে কাদের সাথে? প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সফল ও ব্যর্থ নামাজ আদায়কারীদের দু’টি বিষয়ই সুস্পষ্ট করে দিয়েছেন। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, একদিন প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজ নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন-
‘যে লোক এ নামাজ সঠিকভাবে ও যথাযথ নিয়মে আদায় করতে থাকবে, তার জন্য (এ নামাজ) কেয়ামতের দিন নূর, অকাট্য দলিল (সুপারিশকারী) এবং পরিপূর্ণ মুক্তি নির্দিষ্ট হয়ে যাবে।
পক্ষান্তরে যে লোক নামাজ সঠিকভাবে আদায় করবে না তার জন্য (এ নামাজ) নূর, অকাট্য দলিল এবং মুক্তি কিছুই হবে না। বরং কেয়ামতের দিন (অবহেলা ও অযত্নে নামাজ আদায়কারী) কারূন, ফিরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফ-এর মতো পরিণতি বরণ করবে।’ (মুসনাদে আহমদ, দারেমি, বায়হাকি)
এ হাদিসের ভাষা কুরআনের সুরা মাউনের কথার মনে করিয়ে দেয়। আল্লাহ তাআলা সুরা মাউনে বলেন, অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাজির জন্য, যারা নিজেদের নামাজে অমনোযোগী। যারা লোক দেখানোর জন্য তা (নামাজ আদায়) করে।’ (সুরা মাউন : আয়াত ৫ ও ৬)
সুতরাং প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের উচিত যথাযথভাবে মনোযোগের সঙ্গে নামাজ আদায় করে কুরআন হাদিস ঘোষিত সুসংবাদ ও উপহার লাভ করা। নামাজের অমনোযোগীতা ও ভুল থেকে নিজেদের মুক্ত রেখে পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে কল্যাণ ও সফলতায় রাঙিয়ে তোলা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথভাবে নামাজ আদায় করার এবং নামাজের ভুল থেকে দূরে থাকার তাওফিক দান করুন। নামাজের যাবতীয় উপকারিতা লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-