আতঙ্কে ইয়াবার রাজধানী টেকনাফ

কক্সবাজার জার্নাল ডেস্ক : ইয়াবার রাজধানী খ্যাত সীমান্তবর্তী টেকনাফ উপজেলা এখন আতঙ্কের নাম।আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান ও ইয়াবা কারবারীদের স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণে এ আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান। যার ফলে অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও রয়েছে অজানা আতঙ্কে এমটি বলছেন তারা। তবে স্থানীয়দের দাবি ইয়াবা কারবারীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার।

এদিকে কিছু ইয়াবা কারবারিদের আত্মসমর্পণে টেকনাফে ইয়াবার বিস্তার আগের তুলনায় কমে আসছে বলে দাবি করছে প্রশাসন। সুত্রে জানা যায়, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার পর টেকনাফে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত রেখা নাফ নদী এখন অনেকটাই অরক্ষিত। কারণ বিজিবি, কোস্টগার্ড দায়িত্বে থাকলেও মিয়ানমার থেকে এই পথেই বাংলাদেশে আসছে ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার।

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, অভিযানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে গত তিন মাসে মারা গেছেন প্রায় ৪৮ জন। এমন পরিস্থিতিতে আলোচনায় আসে ইয়াবা কারবারীদের আত্মসমর্পণ।

তবে বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয়রা।চমক লাগানো অভিযানে প্রশংসায় ভাসছেন টেকনাফে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।শুধু তাই নয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপকুমার দাশ যোগদানের ৬ মাসের মধ্যে ইয়াবার দুর্নাম ঘোচার পথে টেকনাফ। যার তার সাহসিকতার জন্য ভূষিত হয়েছে পিপিএম বার পদকে।

সুত্রে আরো জানা যায়, গত এক বছরে কক্সবাজারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে গ্রেফতার হয়েছে দুই হাজার ৩৭১ জন এবং উদ্ধার হয়েছে দেড় কোটিরও বেশি ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে প্রায় এক হাজার ৮৩১টি।

স্থানীয়রা জানান, কে বা কারা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের বাড়িতে হামলা করছেন। তবে ব্যবসায়ীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা হলে ইয়াবার পাচার ও যুব সমাজের মধ্যে ইয়াবা সেবনের প্রবণতা কমবে।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বলেন, ‘ইয়াবা ব্যবসার গডফাদারসহ জড়িতদের নামের তালিকা করা হয়েছে। আত্মসমর্পণ করার পর যদি তারা ব্যবসা ছেড়ে দেন তাহলেও অনেক অগ্রগতি।’

মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন, ‘সীমান্ত এলাকায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ইয়াবার বিস্তার রোধে টেকনাফে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।’ র‌্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান বলেন, ‘প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় তল্লাশি করে ইয়াবা আটক করা হচ্ছে।’ যমুনা নিউজ

আরও খবর