ডেস্ক রিপোর্ট – এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে সারাদেশে ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া শিক্ষকদের তালিকা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় জড়িত কক্ষপরিদর্শকদের পরীক্ষা-সংক্রান্ত সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রসচিবদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। অপরদিকে বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড ভুলের শিকার শিক্ষার্থীদের প্রতিবেদন কেন্দ্রগুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র আলাদা মূল্যায়নে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শনিবার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়সংক্রান্ত সাব-কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিয়াউল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়ার ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে প্রতিবেদন পাঠাতে কেন্দ্রসচিবদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পরীক্ষাগ্রহণ প্রক্রিয়ার ভুলে যাতে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য পূর্ণাঙ্গ বিবরণ চাওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার উদ্ভব না ঘটে, সে জন্য নিয়মিত এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের আলাদাকক্ষে বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা গেছে, ঘটনার পর সামনের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে চার-দফা নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় নিয়মিত ও অনিয়মিত পরীক্ষার্থীদের যথাযথভাবে চিহ্নিত করে শিক্ষাবর্ষ অনুযায়ী পরীক্ষাকক্ষে প্রশ্নপত্র বিতরণ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে তার দায়ভার কেন্দ্রসচিবকে বহন করতে হবে। কোনো কারণে পরীক্ষা শুরু হতে বিলম্ব হলে অবশিষ্ট সময়ের সঙ্গে বিলম্ব সময় যোগ করে পূর্ণ সময় পরীক্ষার্থীদের প্রদান করতে হবে। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করতে হবে। কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা চলাকালীন দুই ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা শেষ করে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবে না। যদি বিশেষ কারণে ত্যাগ করতে চায় তবে প্রশ্নসেট দায়িত্বরত শিক্ষককে জমা দিয়ে বের হতে হবে ও কোনো প্রকার মোবাইলফোন নিয়ে কক্ষপরিদর্শক কিংবা পরীক্ষাসংশ্লিষ্ট কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না। কেন্দ্রসচিব সাধারণ ফোন ব্যবহার করতে পারবে, যা দিয়ে ছবি তোলা যায় না।
আরেক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা ১ম পত্র (কোড ১০১) পরীক্ষায় ২০১৯ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্নপত্র বিতরণ না করে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী প্রণীত প্রশ্নপত্র বিতরণ করে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্রের যে সকল কক্ষে এরূপ ঘটনা ঘটেছে সে সকল কক্ষে দায়িত্ব পালনকারী পরিদর্শকদের পরবর্তী পরীক্ষা হতে পরীক্ষাসংক্রান্ত সকল কার্যক্রম হতে অব্যাহতি দেয়া হলো। সংশ্লিষ্ট কক্ষপরিদর্শকদের নামের তালিকা আগামী ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আন্তঃবোর্ডকে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়াও ২০১৯ সেশনের প্রশ্নপত্র বিতরণে যদি ক্রটি থাকে তবে তার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ আন্তঃবোর্ডকে জানাতে আরেকটি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষানিয়ন্ত্রক মাহবুব হাসান বলেন, আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দায়ী কেন্দ্রসচিব ও কেন্দ্রপরির্দশক শিক্ষকদের তালিকা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছি। এই তালিকা পাওয়ার পর তা আন্তঃশিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-