বিশেষ প্রতিবেদক :
রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে অলিতে গলিতে অসংখ্য বানিজ্যিক কম্পিউটারের দোকান, সারাদিন বস্ততা এসব দোকান গুলোতে। প্রতিদিন শত শত বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র বা এনআইডি জাল করে গলাকাটা এনআইডি তৈরী, মোবাইলে পণ্য ছবি ডানলোড করা হয় এসব দোকানে। ক্যাম্প গুলোকে ঘিরে শতাধিক স্বর্ণের দোকান গড়ে উঠেছে অবৈধভাবে। পাশাপাশি অসংখ্য ডাক্তার ও ঔষধের দোকান গড়ে উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের এসব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। অবশেষে প্রশাসন এসব বন্ধে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার উখিয়ার বালুখালী পানবাজার ও কুতুপালং বাজারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালানো হয়। বিশাল জনবহুল এসব বাজারে একদিকে অভিযান চালিয়ে আসতে দেখে অন্যদিকের অসংখ্য দোকানপাঠ নিজেরা বন্ধ রেখে ব্যবসায়ীরা সটকে পড়ে বলে ইউএনও মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান।
বালুখালীতে অভিযানের সময় ১৩টি স্বার্ণের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসব স্বর্ণের দোকান গুলো নিজেরা অনেকে বন্ধ করে পালিয়ে যায়। বালুখালী ও কুতুপালং বাজারে অভিযান চালিয়ে ৮টি কম্পিউটারের দোকান থেকে ১টি ডেস্কটপ ও ৮টি ল্যাপটপ জব্ধ করে নিয়ে আসা হয়।
এ সময় কম্পিউটারে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করা কালে ও অবৈধ ভাবে পর্ণ ছবি মোবাইল ফোনে ডাউনলোড করার দায়ে ১১জনকে আটক করে নিয়ে আসা হয়। আটকদের সবাই রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু, স্বর্ণের দোকান গুলো থেকে ১৩জনকে আটক করা হয়। সেখানেও ৩রোহিঙ্গা ১০বাংলাদেশী। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা সনদ না থাকায় অভিযান চলাকালে বালুখালী থেকে ফরিদ আহমদ ও কুতুপালং জহির আহাম্মদ নামের দুই জন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করে তার চেম্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
রোহিঙ্গারা কম্পিউটার স্ক্যানিং করে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্রে প্রকৃত আইডি ধারীর ছবির স্থলে রোহিঙ্গাদের ছবি বসিয়ে গলাকাটা আইডি কার্ড তৈরী করে তা প্রতিটি দেড়শ থেকে দুইশ টাকা আদায় করে থাকে বলে জানা যায়।
এসব আইডি কার্ড প্রদর্শন করে রোহিঙ্গারা সহজে সড়কের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত সেনাবাহিনী ও পুলিশী চেকপোষ্ট পার হয়ে দেশ বিদেশে অবৈধভাবে ছড়িয়ে পড়ছে সহজে।
বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীর ভ্রাম্যমান আদালতে উল্লেখিত অপরাধের অভিযোগে স্বর্ণের দোকানদার ও স্থানীয় বাংলাদেশী ডাক্তারদের জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বৈধ কাগজপত্র না আনা পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করার দায়ে ১১জন রোহিঙ্গাকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দিয়ে গতকাল শুক্রবার উখিয়া থানার মাধ্যমে কক্সবাজার জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-