নিজস্ব প্রতিবেদক :
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজার পশ্চিম লারপাড়া এলাকায় আব্দুল গণি (প্রকাশ ইয়াবা গণি) বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার সিন্ডিকেট বাহিনীর নেতৃত্বে এলাকায় ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার কারণে নানা পেশার লোকজন অধিক লাভের আশায় এ পেশায় ঝুকছে। এছাড়াও একই এলাকায় সরকারী পাহাড় কেটে অনুমতি বিহীন বহুতল ভবন নির্মাণ করছে ইয়াবা গণি।
প্রাপ্ত সূত্রে জানা যায়, দুই বছর পূর্বেই ইয়াবা গণি রাজমিস্ত্রীর সহকারী হিসেবে কাজ করতো। খুব অল্প সময়ের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে । সে দেদারছে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। নতুন নতুন টানা পালসার হাকিয়ে দিব্যি এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের ধরা-ছোয়ার বাইরে সে। এ সুযোগে এলাকায় ইয়াবা গণি ও তার সিন্ডিকেটে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তার কাছে এলাকার জন প্রতিনিধিরা সম্পূর্ণ অসহায়। এমনকি রাতের বেলায় সে বাসায় থাকে না, থাকে পাহাড়ের উপর টঙ্গি ঘর করে।
এদিকে গত ২৭ জানুয়ারি মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় ছলিম উল্লাহ (২৮) নামে এক যুবকের উপর হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসাসী ইয়াব গণি ও তার বাহিনীরা। হামলায় সে গুরুতর আহত হয়েছে। এ সময় তার হাত ব্যাগে থাকা ৩৫ হাজার টাকা ও ইজিলোডের ব্যবসায়ীক নকিয় মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
এ বিষয়ে আহত ছলিম উল্লাহ বাদী হয়ে চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল গণি, প্রকাশ ইয়াবা গণিকে প্রধান আসামী করে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং- ১০৫ তাং-২৭/১/২০১৯ ইং।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ইয়াবা গণি এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী। তাই ছলিম উল্লাহ পূর্বে থেকে ইয়াবা ব্যবসা-সহ বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করিলে প্রথমে তার উপর চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে হাঁকা-বকা করেছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় ২৭ জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে ব্যবসায়ীক দোকানে যাওয়ার পথে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে উৎপেতে থাকা উপরোক্ত চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা রাস্তার উপর গতিরোধ করে ছলিম উল্লাহকে লোহার রড, লাঠি, হাতুড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ সময় নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়। তার শৌর চিৎকারে স্থানীয় জনতা এগিয়ে আসলে হামলা কারীরা পালিয়ে যায়।
পশ্চিম লারপাড়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, এলাকায় তার একটি বড় ইয়াবা সিন্ডিকেট রয়েছে। তাদের কারণে অধিক লাভের আশায় মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। তারা নতুন নতুন টানা গাড়ি হাঁকিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা।
প্রবীণ মাষ্টার রুহুল আমিন জানান, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম ইতোমধ্যে ঝিলংজায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এসব অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. খায়রুজ্জামান জানান, আব্দুল গণি একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী। তাকে আটকের জন্য প্রশাসনের চেষ্টার কমতি নেই। এমনকি ওয়ারেন্টভুক্ত সব আসামীকে ধরার জন্য প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-