চট্টগ্রাম – কক্সবাজারের ঘুমদুম হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত রেলপথ স্থাপন হলে চীন এবং থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়াকেও তাতে যুক্ত করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
রোববার চট্টগ্রামে পূর্ব রেলের সদর দপ্তরে রেলওয়ে কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায়
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
“কক্সবাজার থেকে ঘুমদুম হয়ে মিয়ানমারের সঙ্গে রেললাইন সংযুক্ত হলে তা ভবিষ্যতে চীন-মিয়ানমার, মালয়েশিয়া এবং থাইল্যান্ডের সাথে যুক্ত করার চিন্তাও মাথায় আছে।”
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে ঘুমদুম পর্যন্ত ডুয়াল গেজ রেলওয়ে ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে পরামর্শক নিয়োগের প্রস্তাবে সম্প্রতি সায় দিয়েছে সরকর।
বুধবার সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ৩৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট ঢাকা’কে ওই কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ও রামু হয়ে মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের জুলাই মাসে।
১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকার এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের রেল যোগাযোগ স্থাপিত হবে। ২০২২ সালে এ প্রকল্প শেষ করার আশা করছে সরকার।
রোববারের সভায় রেলপথমন্ত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে হাইস্পিড ট্রেন চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই শুরু এবং আগরতলা দিয়ে রেলসংযোগ তৈরির কথাও জানান।
টিকেট কালোবাজারি, দরপত্রসহ বিভিন্ন দুর্নীতিতে রেল কর্মকর্তারা জড়িত- সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এমন দাবি করা হলে মন্ত্রী বলেন, “রেলওয়েতে আমি এসেছি। আমি মনে করি প্রত্যেকে ভালো মানুষ। রেলের জন্য কাজ করি। এ কাজ করতে গিয়ে যদি খারাপ কিছু দেখি তাহলে ব্যবস্থা নেব।
“আস্থা ও বিশ্বাস রাখবেন। সমস্যা দেখলে পালিয়ে যাব না, সমাধান করব। সমস্যা আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিতে বাধা হবে না।”
রেলওয়েতে বাজেট বরাদ্দ বাড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় রেলওয়েতেও অনেকগুলো অগ্রাধিকার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
বন্ধ রেল স্টেশনগুলো পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-