বিশেষ প্রতিবেদক :
পর্যটন মৌসুমকে টার্গেট করে শহরের পর্যটন জোনে চলছে ইয়াবা ও রোহিঙ্গা পতিতাদের দিয়ে ব্যবসা।
কক্সবাজারে ভরা পর্যটন মৌসুমকে লক্ষ্য করে এবার ইয়াবা এবং রোহিঙ্গা পতিতা সরবরাহ করছে উখিয়া- কলাতলি একটি সিন্ডিকেট। আগে ইয়াবাসহ নানা মাদক ছড়িয়ে দেয়া হতো পর্যটন জোনে। মাদকের সাথে গত বছর থেকে পর্যটন মৌসুমে যোগ হয়েছে রোহিঙ্গা পতিতা। পর্যটন মৌসুমের শুরু থেকে রোহিঙ্গা কিশোরী ও যুবতিদের কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে এনে রাখা হয়। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে আনা হচ্ছে ইয়াবা। এ জন্য তারা কয়েকটি সিএনজি ব্যবহার করছে। পুলিশ বিভিন্ন সময় পর্যটন জোনের বিভিন্ন হোটেল থেকে রোহিঙ্গাদের উদ্ধার করে। নিয়মিত উদ্ধার করা হয় ইয়াবা।
কক্সবাজারের ৪ শতাধিক আবাসিক হোটেলে একসাথে অভিযান করে অবৈধ কর্মকান্ড বন্ধ করার সুযোগ না থাকায় বেশ কিছু হোটেল গেষ্ট হাউজে অপরাধ কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে ভয়াবহ হচ্ছে রোহিঙ্গাদের পতিতা হিসেবে ব্যবহার করা। কারন রোহিঙ্গাদের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে মরনঘাতি এইসআইভি এইডস। এতে করে পর্যটকদের মাধ্যমে এইডস সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ার আশংকা দিয়েছে। অন্যদিকে প্রতিবছরের ন্যায় এবারো ইয়াবা ব্যবসা চাঙ্গা করেছে হোটেল মোটেল জোনে। তবে সেই সাথে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে পাচার করে ইয়াবা জমজমাট করে তুলেছে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে র্যাব এবং পুলিশ ইয়াবাসহ অনেককে আটক করেছে।
পুলিশ জানায়, উখিয়ায় একটি সিন্ডিকেটের সাথে শহরের কলাতলী এলাকার একটি সিন্ডিকেট ইয়াবা ও রোহিঙ্গা পতিতা ব্যবসায় নেমেছে। গতবছর ২৫ ডিসেম্বর লিংক রোড থেকে কলাতলির চন্দ্রিমা এলাকার ইসমাইল নামের এক যুবকসহ দুইজন রোহিঙ্গা নারীকে আটক করেছিল পুলিশ। পরে ছাড়া পেয়ে ইসমাইল আবারো একই পেশায় নেমে পড়ে।
উখিয়া এলাকার জসিম, মিজান, হারুন, শাহীন নামের কিছু ব্যক্তি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ঢুকে রোহিঙ্গাদের কিশোরী ও যুবতি টার্গেট করে। এর পর ক্যাম্পের কিছু মাঝি, সহকারি মাঝিদের সহায়তায় কক্সবাজার নিয়ে আসে। আর কক্সবাজারের কলাতলী সিন্ডিকেট চন্দ্রিমা এলাকার আবদুল হামিদ, মো: আনোয়ার, হামিদুল হক, জহুর সওদাগর, পুতুসহ আরো কয়েকজনে বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদের পাচার করে। সেই সাথে উখিয়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কলাতলী সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
একইভাবে কিছু হোটেল ব্যবসায়ী এই ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। এবার পর্যটকদের ইয়াবা এবং রোহিঙ্গাদের পতিতা দিয়ে সেবা দিয়ে যাচেছ সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন খন্দকার জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পুলিশ নিয়মিত ধরে হোটেল মোটেল জোনে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আসছে। মাদক ব্যবসায়ী, ছিনতাইকারিসহ অর্ধশত অপরাধীদের আটক করা হয়। নিরাপত্তায় অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গা নারীদের শুধু হোটেলে না কক্সবাজার সদরের যে কোন স্থানে রোহিঙ্গাদের পাওয়া গেলে তাদের আটক করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানো হচ্ছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-