মাহাবুবুর রহমান :
৩০ ডিসেম্বর অনুষ্টিত একাদশ জাতিয় সংসদ নির্বাচনে নিরষ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা নিয়ে টানা তৃতীয় এবং চতুর্থ বারের মত সরকার গঠন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। নির্বাচিত এমপিদের শপথ এবং মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে ইতি মধ্যে পথ চলা শুরু করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্বাধীন সরকার।এখন বাকি আছে সংরক্ষিত আসনে নারী সাংসদদের মনোনয়ন। জাতিয় সংসদে নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসন আছে ৫০ টি এর মধ্যে নির্বাচিত আসন সংখ্যার বিবেচনায় আওয়ামীলীগ আসন পাবে ৪৩ টি। আর ৫০ আসনে নারী এমপি হওয়ার দৌড়ে এখন চলছে জোর প্রচেস্টা। সে জন্য সবাই এখন ঢাকাতে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নেতার বাসা এবং দপ্তর আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে জোর তদবিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ইতি মধ্যে মনোনয়ন দৌড়ে আছেন কক্সবাজারের নারী নেত্রীরা। যেহেতু এখানে সরাসরি কোন ভোটের বিধান নাই তাই সব চেস্টা তদবির হচ্ছে কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারক পর্যায়ে। এদিকে বিভিন্ন ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কক্সবাজার থেকে ইতিমধ্যে ২৩ জন নারী এমপি প্রার্থী দলিয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন এবং তা জমাও দিয়েছেন। এর মধ্যে অন্যতম জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কানিজ ফাতেমা মোস্তাক,সাবেক সংসদ সদস্য এবং জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপিকা এথিন রাখাইন,কেন্দ্রীয় তাঁতী লীগের কার্য নির্বাহী সভাপতি সাধনা দাশ গুপ্তা, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনিন সরওয়ার কাবেরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য এড. নাসরিন ছিদ্দিকা লীনা, জেলা যুব মহিলালীগের সভাপতি আয়েশা সিরাজ, জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্যা তাহমিনা চৌধুরী লুনা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নাছিমা আক্তার বানু, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি রশিদ আহাম্মদের মেয়ে সিটি কলেজের শিক্ষক অধাপিকা রোমেনা আক্তার,রামুর সর্বজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মোস্তাক আহামদের মেয়ে রামু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুসরাত জাহান মুন্নী,চকরিয়া পৌর মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফিরোজা আমজাদ, জেলা পরিষদের সদস্য মসরফা জান্নাত,বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নি জেনারেল আনিসউল মাওয়া, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লুৎফুন্নাহার বাপ্পী, আওয়ামীলীগ নেত্রী প্রকৌশলী ইসমত আর ইসমু, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পেকুয়ার উম্মে কুলসুম মিনু,রামু যুব মহিলালীগের সাধারণ সম্পাদক আফসানা জেসমিন পপি, ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা ব্যাংকার খাদিজা ফারজানা রিভা,কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সদস্য জয়া জাহান চৌধুরী, টেকনাফ পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মনোয়ারা বেগম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের জেলা সভাপতি নীলিমা আক্তার চৌধুরী,চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক জন্নাতুল বকেয়া রেখা,জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ম ম আহাম্মদ।
এদিকে দলীয় নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা গেছে,এবার সংরক্ষিত আসনে নারী সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দলীয় ভাবে ত্যাগ এবং যোগ্যতাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হবে এছাড়া যেসব এলাকা নিয়ে সরকারের বেশি উন্নয়ন পরিকল্পনা আছে বা মন্ত্রী পায় নি এমন জেলাও নারী সংসদ নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে বলে জানা গেছে।
এদিকে আওয়ামীলীগ কর্মী খালেদা জেসমিন,ফাতেমা আক্তার সহ অনেকে বলেন,আমরা চাই এমন একজনকে সংসদ নির্বাচন করা হউক যিনি নারীদের জন্য কাজ করবে। আমাদের ধারনা মতে নারী সাংসদ সৃস্টির মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে পিছিয়ে পড়া সর্বস্থরের নারীদের নিয়ে কাজ করা। এবং নারীদের আর্ত সামাজিক উন্নয়নে কাজ করা। একই সাথে দলীয় ভাবে তৃণমূল পর্যায় থেকে নারীদের আওয়ামীলীগের নীতি আদর্শ মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বুঝিয়ে দলের প্রতি অনুগত করা। এখন আমরা দেখছি এমন অনেকে নারী সংসদ হতে চাইছে যারা দলের নেতাকর্মীদেরর ঠিকমত চিনেনা। দলের দুঃসময়ে যাদের কোন দিন আমরা রাজপথে এমনকি কোন আন্দোলন সংগ্রামে দেখিনি তারাও এখন মনোনয়ন চাইছে। তবে আমাদের দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন কাজে ভূল করেননা। উনি ঠিকই সবার খবর রাখেন আসা করি যোগ্য নেতৃত্বকেই তিনি নারী সাংসদ করবেন।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন,সংরক্ষিত আসনে নারী সাংসদ নির্বাচনে আমাদের করনীয় খুব কম। আর আওয়ামীলীগ একটি বড় রাজনৈতিক দল এখানে মনোনয়ন প্রত্যাশি বেশি হবে সেটা স্বাভাবিক। কোথায় কাকে কি করতে হবে সেটার হিসাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। তিনি বিচক্ষনতার সাথে সব কিছু করছেন। আশা করি সবার জন্য ভাল হয় এমন কাউকে সংরক্ষিত আসনে সংসদ সদস্য করা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-