ডেস্ক রিপোর্ট – চাকরির প্রলোভন দিয়ে উঠতি বয়সী মেয়েদের পার্লারে এনে দেহ ব্যবসার অভিযোগে অভিযান চালিয়ে নগরীর একটি পার্লার থেকে ৯ যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পার্লারের মালিকসহ অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) হালিশহর থানা পুলিশ পশ্চিম রামপুরা এলাকার মিনার পার্লারে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- বাঁশখালী উপজেলার মনকিরচর রতন ড্রাইভারের বাড়ির রতন দে’র পুত্র জনি দে (২১), কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান এলাকার ভক্তপাড়ার বাবুল কান্তির পুত্র মিন্টু দে লিটন (৩৫), সাতকানিয়া উপজেলার পদুয়ার সিকদার পাড়ার ফজলুল হকের পুত্র আব্দুল আউয়াল (৩১), কক্সবাজার উখিয়া থানার হলুদিয়া এলাকার মীর আহম্মদ ভান্ডুর মেয়ে রাবেয়া ময়না (৩২)।
পুলিশ জানায়, হালিশহর থানার পশ্চিম রামপুর উত্তরা ব্যাংক ভবনের ২য় তলায় মিনা নামের কক্সবাজারের এক নারী পার্লারের জন্য ভাড়া নেয়। ভাড়া নিয়ে সে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে তরুণীদের এনে দীর্ঘদিন ধরে পার্লারে চাকরি দেয়ার নাম করে নারীদের জোরপূর্বক দেহ ব্যবসা করার জন্য বাধ্য করা হতো। দীর্ঘদিন ধরে সে কৌশলে দেহ ব্যবসা করলেও বিষয়টি কেউ টের পায়নি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে পার্লারে পুরুষের উপস্থিতি দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন পার্লারের নামে দেহ ব্যবসা চলছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানোর পর অভিযান চালিয়ে ওই পার্লার থেকে নয়জন নারীকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জোর পূর্বক অনৈতিক কার্যকলাপ পরিচালনা করার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ওবায়েদ বলেন, মিনা নামের এক নারী পার্লার ব্যবসার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চাকরির প্রলোভন দিয়ে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যুবতীদের এনে অনৈতিক কাজ করতে বাধ্য করত। মিনা কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার পূর্ব হলুদিয়া এলাকার নুর আহাম্মদে কন্যা ও মো. পাবেল’র স্ত্রী। মিনা ইস্পাহানি রেল গেইট এলাকায় ভাড়া বাসায় পার্লার বানিয়ে অনৈতিক কার্যকলাপ করে আসছে। আটক চারজনের বিরুদ্ধে নারী পাচার মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানান ওসি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-