তুমব্রু সীমান্ত খালে সেতু নাকি বাঁধ ধুম্রজাল

আবদুল্লাহ আল আজিজ, কক্সবাজার জার্নাল

ঘুমধুমের তুমব্রু সীমান্ত খালে মায়ানমার কর্তৃক পাকা পিলার দিয়ে সেতু নির্মাণের ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে এপারে বসবাসরত গ্রামবাসী ও কোণার পাড়া আশ্রয় শিবিরে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখির পর সোমবার কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মনজুরুল আহসান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সেখানে আগেও একটি কাঠের সেতু ছিল। সেটি নড়বড়ে হয়ে যাওয়ার কারণে তনতুন করে ইট কংক্রিটের পিলার দিয়ে সেতু নির্মাণ করছে। তাদের অভ্যন্তরে সেতু নির্মাণ করতেই পারে মন্তব্য করে বিজিবির অধিনায়ক জানান, তথাপি তারা সীমান্ত খালের উপর কি জন্য সেতু নির্মাণ করছে তার জবাব চেয়ে বিজিপি কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ওই চিঠির জবাব এলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে জাহাঙ্গীর আজিজ তার প্রতিক্রিয়া বলেন, তুমব্রু খালে সেতু নির্মাণ করলে তাদের কোন সমস্যা নেই। যদি ওই সেতুটি বর্ষাকালে বাঁধে পরিণত হয় তাহলে তুমব্রু এলাকায় ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির শিকার হয়ে খালের পাড়ে বসবাসরত পরিবার গুলোকে অপূরণীয় ক্ষয়ক্ষতি ও দুভোর্গ পোহাতে হবে। ইউপি সদস্য আব্দুর রহিম জানান, বিজিপি সদস্যরা তুমব্রু সীমান্ত খালের উপর কি নির্মাণ করছে সে ব্যাপারে কেউ স্পষ্ট নয়। বিধায় নির্মাণাধীন ওই স্থাপনাটি সেতু না বাঁধ এ নিয়ে গ্রামবাসীর মধ্যে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে বন্যা আতংক। কোণার পাড়া রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, মিয়ানমার সেনা ও বিজিপি সদস্যরা তাদেরকে কোণার পাড়া নো ম্যান্স ল্যান্ড থেকে তাড়ানোর জন্য অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তুমব্রু খালে বাঁধ দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে তাদেরকে তাড়ানোর অভিপ্রায় নিয়ে মিয়ানমার তুমব্রু খালের উপর সেতুর পরিবর্তে বাঁধ নির্মাণ করছে বলে তাদের ধারণা। 

আরও খবর