মোঃ ফারুক,পেকুয়া:
মোঃ ইরফান, ইকরামুল, মোবারক ও মারুফা বেগম সহ ৬-১১ বছর বয়সী ১২জন শিশু পিতামাতার কক্সবাজারের পেকুয়াত এসেছিল ইটভাটায় কাজ করতে। তাদের সবার বাড়ী কিশোরগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে।
শ্রমিক পিতামাতার সাথে এবিএম নামের একটি ইটভাটার শ্রমিকের সহযোগীর কাজ করে দিনযাপন করা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ ছিল অনিশ্চিত। অল্প বয়সে কঠোর পরিশ্রম ও কর্মস্থলের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিও ছিল তাদের।
সম্প্রতি এ বিষয়ে গণমাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পর টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসনের। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ও ইটভাটা মালিক আহমদ নবীর প্রচেষ্টায় সেই ১২জন শিশু ভর্তি করা হয়েছে বিদ্যালয়ে। প্রত্যেক শিশু দেয়া হয়ে নতুন পোশাক ও বইখাতা সহ শিক্ষার আনুষঙ্গিক উপকরণ।
বুধবার (১৬জানুয়ারি) টইটং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিন দেখা যায়, শ্রেণীকক্ষের তাদের প্রাণোচ্ছল উপস্থিতি। স্থানীয় শিক্ষার্থীদের সাথে মিলেমিশে ক্লাসে মনোযোগী সেই ১২জন শিশু।
শিশু ইরফান ও ইকরামুলের পিতা ইউনুছ মিয়া বলেন, সুযোগসুবিধা ও নানা প্রতিকূলতার কারণে না বুঝে আমি ছোট শিশুদের শ্রমিকের কাজে দিয়েছিলাম। এখন ইটভাটা মালিক ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়েছি। ইনশাল্লাহ তাদের শিক্ষা কার্যক্রম আর বন্ধ হতে দিবো না।
এব্যাপারে এবিএম ইটভাটার মালিক আহমদ নবী বলেন, ১২জন শিশুকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে পেরে আমি আনন্দিত। মূলত তাদের পিতামাতার অবহেলার কারণে সময়মত তাদের বিদ্যালয়ে পাঠানো সম্ভব হয়নি। এর আগে ২০১৬ সালেও আমার ইটভাটায় কর্মরত শ্রমিকদের ২৫ শিশুকে আমি নিজ খরচে বই পোশাক দিয়ে বিদ্যালয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম।
পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবউল করিম বলেন, ইটভাটার শ্রমিকের শিশুদের শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা আসলেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আমার পক্ষ থেকে সেসব শিশুদের প্রতি সুদৃষ্টি থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-