ডেস্ক রিপোর্ট- সংঘাত কবলিত রাখাইনের গ্রামগুলোতে জাতিসংঘসহ মানবিক সহযোগিতা প্রদানকারী সংগঠনের তৎপরতা নিষিদ্ধ করেছে রাজ্যটির সরকার। এ নিয়ে সেখানে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। শুক্রবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।
ফাইল ছবি
রাখাইন রাজ্য সরকারের তথ্য অধিদফতরের ঘোষণা অনুযায়ী, এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বুথিডাউং, মংডু, পন্নাগিউন, কাইয়াকতাউ ও রাথেডাউং এলাকা। দেশটির সংবাদমাধ্যম মিয়ানমার টাইমস এখবর জানিয়েছে।
অধিদফতর জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি এই নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।
সম্প্রতি রাখাইনে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মি সংঘাতে লিপ্ত হয়েছে। ৪ জানুয়ারি আরাকান আর্মির হামলায় ১৫ পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও অপর ৯ জন আহত হয়েছেন।
মংডু শহরের প্রধান ইউ সোয়ে অং রবিবার রাজ্য সরকারের কাছ থেকে জাতিসংঘসহ সব ধরনের স্থানীয় ও বিদেশি বেসরকারি ত্রাণ সংস্থাকে নিরাপত্তাজনিত কারণে গ্রামগুলোতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার নির্দেশ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রামগুলোতে যাওয়ার জন্য সবগুলো ত্রাণ সহায়তা সংস্থাকে রাজ্যের সহযোগিতা কমিটির কাছে অবশ্যই আবেদন করতে হবে।
ইউ সোয়ে অং বলেন, এখন শরণার্থীদের যথেষ্ট পরিমাণে খাবার রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ছে। এনজিওগুলো এখন যদি গ্রামে সহযোগিতা বিতরণে যায় তাহলে সমস্যায় পড়বে।
জাতিসংঘের মানবিক সহযোগিতা সমন্বয়কারী সংস্থার মতে, সাম্প্রতিক সংঘাতের ফলে ৫ হাজারের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন।
নভেম্বর থেকে আরাকান আর্মি ও সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ২১ ডিসেম্বর মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইন ছাড়া দেশটির অনেক রাজ্যে ৯ মাসের অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-