গিয়াস উদ্দিন ভুলু,টেকনাফ :
সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের মাদক কারবারে জড়িত অপরাধীদের দমন করতে আইন-শৃংখলা বাহিনীর চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে।
তথ্য সুত্রে দেখা যায় গত দুই মাসে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২১ জন। তবুও থেমে নেই ইয়াবা পাচার! অনুসন্ধানে দেখা যায় অত্র এলাকায় ভদ্রতার মুখোশ পরে বৈধ ব্যবসার আড়ালে মাদক পাচারে তারা এখনো সক্রিয়! সাধারন মানুষের প্রশ্ন এরা কারা? এদিকে অত্র এলাকার মাদক কারবারীদের নিশ্চিহ্ন করার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের মাদক বিরোধী চলমান যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। এই যুদ্ধে গত দুই মাসে টেকনাফ থেকে ২১ জন মাদক কারবারী নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে কোটি কোটি টাকার মালিকবিহীন ইয়াবা। মাদক পাচার প্রতিরোধ করার জন্য স্থানীয় প্রসাশনের সদস্যরা যতই কঠোর হচ্ছে, পাচারকারীরা তাদের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে নিত্য-নতুন কৌশল অবলম্বন করে তাদের অপকর্ম চালু রেখেছে। সেই ধারাবাহিকতার অংশ হিসাবে ১৩ জানুয়ারী সাবরাং ইউনিয়ন আলীর ডেইল এলাকায় বিজিবি সদস্যদের অভিযানে এক লক্ষ,২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। ইয়াবা পাচার কাজে ব্যবহার হওয়া একটি সিএনজি জব্দ করা হয়েছে।
বিজিবি তথ্য সুত্রে জানা যায়, ভোর রাত পৌনে ৪টার দিকে ২বিজিবি অধিনায়ক আছাদুদ-জামানের নেতৃত্বে সাবরাং খুরের মুখ বিজিবি সদস্যদের সহযোগীতায় ইয়াবা পাচারের গোপন সংবাদ পেয়ে আলীর ডেইল এলাকায় চ্যাকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশী করার সময় সু-কৌশলে পালিয়ে যাওয়া চালক বিহীন একটি সিএনজি মধ্যে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা ৩ কোটি,৬০ লক্ষ টাকা মুল্যমানের ১ লক্ষ,২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এই সময় ইয়াবা পাচারে ব্যবহার হওয়া সিএনজিটিও জব্দ করেছে বিজিবি।
অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ আছাদুদ-জামান চৌধুরী। তিনি বলেন অত্র এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী এখনো সক্রিয়। তারা ভদ্রতার মুখোশ পরে আড়ালে থেকে অর্থলোভী রোহিঙ্গাদের ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে তাদের সেই অপকর্ম প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের বিজিবি সদস্যরা সদা প্রস্তুত রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-