সুজাউদ্দিন রুবেল :
কক্সবাজার ও বান্দরবানের ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা এখন ক্যাম্প ছেড়ে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর তিন স্তরে চেকপোস্ট থাকার পরও কোনোভাবেই আটকে রাখা যাচ্ছে না তাদের। এতে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ছে বলে দাবি সুশীল সমাজের। এদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
১১ লাখ রোহিঙ্গার বসবাস কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায়। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে গত ১৬ মাস ধরে থাকছে ছয় হাজার একরের বেশি বনভূমির ৩০টি ক্যাম্পে। কিন্তু এসব ক্যাম্পে নেই কোনো কাঁটাতারের বেড়া কিংবা সীমানা প্রাচীর। ফলে অবাধে চলাফেরা করছে রোহিঙ্গারা।
সময় যতোই গড়াচ্ছে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের চেকপোস্ট পেরিয়ে রোহিঙ্গারা নানা উপায়ে ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে চলে যাওয়ার চেষ্টা করছে। স্থানীয়দের দাবি, রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে আসতে পারায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা।
তারা বলেন, নানাভাবে তারা ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে আসছেন। আমাদের জীবনে তাদের একটা প্রভাব পড়ছে। তারা বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করে বিদেশে পর্যন্ত যাচ্ছেন।
কাঁটাতারের বেড়া কিংবা সীমানা প্রাচীরের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে রাখার দাবি সুশীল সমাজের। তা না হলে স্থানীয় ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন পিপলস ফোরাম কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল।
তিনি বলেন, আমাদের দাবি, কক্সবাজারের রোহিঙ্গাদের একটা নির্দিষ্টস্থানে কাঁটাতারের বেড়ার মধ্যে রেখে কঠোর নজরদারিতে রাখতে হবে।
তবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো আবুল কালাম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের নির্দিষ্ট গণ্ডির ভেতরে রাখতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, কাঁটাতারের বেড়া দেয়ার বিষয়ে সরকারের একটা নির্দেশনা রয়েছে। সেই বিষয়েই এখন আমরা কাজ করছি।
পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গত ১৬ মাসে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫৮ হাজার ৩৬১ জন রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পে পাঠিয়েছে পুলিশ। আর এসব কাজে সহযোগিতায় করায় ৫৩৬ দালালকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-