এবার আলোচনায় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যরা

ডেস্ক রিপোর্ট – ইতোমধ্যে সংসদ সদস্য ও মন্ত্রিপরিষদের শপথ গ্রহণের পর্ব শেষ হয়েছে। এবার আলোচনা-সমালোচনা সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যদের নিয়ে।

আইন অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আগামী ১ এপ্রিলের মধ্যে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। তাই এবার সংসদের সংরক্ষিত আসন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত ৫০টি নারী আসনের মধ্যে খুলনা ও বাগেরহাট এ দুই জেলা মিলে আসন নম্বর-১১। এ আসনে প্রবীণদের পাশাপাশি রয়েছেন নবীন নারী নেত্রীরাও। দলীয় সূত্র মতে, বর্তমান সংসদ সদস্যসহ ১০ থেকে ১২ জন নারী রয়েছেন আলোচনায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা-বাগেরহাট অঞ্চলের সংরক্ষিত আসন থেকে কে হচ্ছেন নারী সংসদ সদস্য তা নিয়ে এখনই শুরু হয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনা। নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের পরপরই সম্ভাব্য নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের নজর এখন সেদিকেই। নারী সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অনেকেই লবিংয়ের জন্য ইতোমধ্যে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ৫০টি আসনের বিপরীতে প্রত্যেক জেলার একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাশী। একাধিক নারী নেত্রীও সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত ১১ আসনের (খুলনা-বাগেরহাট) সংসদ সদস্য প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য চিতলমারী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কালিদাশ বড়ালের স্ত্রী হ্যাপী বড়াল, সাবেক সংসদ সদস্য নূর আফরোজ আলী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনেতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমানের স্ত্রী রওশান আরা ইভা, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা হাসান ডেইজী, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আফসানা ফেরদৌস কেকা, জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক সেলিনা পিয়া, জেলা যুব মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক জেসমিন পারভীন জলি, মহানগর মহিলা লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা হোসনেয়ারা রুনু, মহানগর আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অলোকা নন্দা দাস, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আফরোজা জেসমিন বিথী ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি চৈতালী হালদার চৈতী।

দলীয় সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের পরীক্ষিত নেত্রীদের মধ্যে থেকে নারী সংসদ সদস্য করার দাবি জানানো হয়েছে।

মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথের রাজনীতিতে আছেন। পরীক্ষিত নেত্রীদের বিষয়ে দল মূল্যায়ন করলে তারা মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী। একাধিক নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১৯ মার্চ সংসদ সদস্যদের ভোটে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারা ২২ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। ২০১৭ সালের ৮ জুলাই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সংরক্ষিত এ ৫০টি পদ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।