নতুন ৪০ ফায়ার স্টেশনের জন্য ১০৯০ জনবল নিয়োগে অনুমোদন

ডেস্ক রিপোর্ট – দেশের বিভিন্ন উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নির্মাণাধীন ৪০টি ফায়ার স্টেশনে জনবল নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটি। গত রবিবার (৬ জানুয়ারি) সচিব কমিটির সভায় এ বিষয়টি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে বিভিন্ন সময়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায় বিষয়টি। ৪০টি ফায়ার স্টেশনের জন্য বিভিন্ন পদে এক হাজার ৯০ জনের নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ৪০২টি ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নির্মাণাধীন এই ৪০টি স্টেশনের কাজ শেষ ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা দাঁড়াবে ৪৪২টিতে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে যেকোনও দুর্যোগ মোকাবিলাসহ জনসেবামূলক কাজের ক্ষেত্র আরও প্রসারিত হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের গুরুত্বপূর্ণ ১৫৬টি উপজেলা সদরে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন স্থাপন প্রকল্পভুক্ত নির্মাণাধীন ৪০টি ফায়ার স্টেশনে জনবল নিয়োগের জন্য ২০১৭ সালের ১২ নভেম্বর ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মেদ খান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে একটি প্রস্তাবনা পাঠান। ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি, ‘বি’ ক্যাটাগরির ৩৭টি এবং স্থল ও নদীর জন্য ‘বি’ ক্যাটাগরির দু’টি ফায়ার স্টেশনসহ মোট ৪০টি ফায়ার স্টেশনের বিপরীতে এক হাজার ৯০টি পদ সৃষ্টির জন্য প্রস্তাবনায় বলা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগ থেকে প্রস্তাবনাটি একই বছরের ২৩ নভেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ৩০ এপ্রিল ও অর্থ বিভাগের বাস্তবায়ন অনুবিভাগ গত বছরের (২০১৮) ১২ নভেম্বর এক হাজার ৯০টি পদের বেতন গ্রেড ও মাসিক ন্যূনতম সেবামূল্য নির্ধারণে সম্মতি দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগে পাঠায়।

এ সংক্রান্ত তথ্য-উপাত্তের সারসংক্ষেপ গত বছরের ১৯ নভেম্বর প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে উপস্থাপন করা হয়। সর্বশেষ গত রবিবার (৬ জানুয়ারি) সচিব কমিটির সভায় বিষয়টির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
জনবল নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া ফায়ার স্টেশনগুলো হচ্ছে— গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর ও বিজয়নগর, বগুড়ার আদমদিঘী, জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, মাগুরার শালিখা, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া, কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, পাবনার সাথিয়া, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ, নড়াইলের কালিয়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, বাগেরহাটের কচুয়া, ফকিরহাট, রামপাল ও চিতলমারী, মাদারীপুরের কালকিনি, সাতক্ষীরার দেবহাটা, কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া ও হোসেনপুর, রাঙ্গামাটির রাজস্থলী, খাগড়াছড়ির পানছড়ি, যশোরের কেশবপুর, খুলনার বাটিয়াঘাটা ও দাকোপ, টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার, ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, নওগাঁর ধামুইরহাট, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারি, ফুলবাড়ি ও রাজারহাট, চাঁদপুরের মতলব (উত্তর), চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, কুমিল্লার মেঘনা, মনোহরগঞ্জ ও তিতাস এবং সিলেটের কানাইঘাট। এছাড়া স্থল ও নদী নামে ‘বি’ ক্যাটাগরির আরও দুটি ফায়ার স্টেশন এবং ‘এ’ ক্যাটাগরির একটি স্টেশনসহ ৪০টি ফায়ার স্টেশনের জন্য জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) শামীম আহসান চৌধরী বলেন, ‘যেকোনও দুর্যোগে প্রথম সাড়া দেয় ফায়ার স্টেশন। এই জনবল নিয়োগের অনুমোদনের ফলে আগুন নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া সহায়তার আওতা বাড়বে। রাষ্ট্রীয় ভিআইপিদের নিরাপত্তা বিধান, টহল ডিউটি, জঙ্গি ও সন্ত্রাসি কার্যক্রমসহ রাষ্ট্রবিরোধীদের অপতৎপরতা রোধ এবং জনসেবামূলক কাজে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।’

আরও খবর