কক্সবাজারের যত সমুদ্র সৈকত

পর্যটন ডেস্ক :

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতটি পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত। ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এ সমুদ্র সৈকত প্রায় সারা বছরই থাকে প্রাণচঞ্চল। শীত-বর্ষা-বসন্ত-গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই সমুদ্রের রূপ থাকে একই।

সুগন্ধা পয়েন্ট সমুদ্র থেকে একটু দূরে ঝাউ গাছের সারি। বর্ষাকাল হলে পানিতে তেমন নীলাভ্রতা থাকে না। বীচে জো বাইকে ঘুরে বেড়ানো যায়। আর পানিতে ঘোরা যায় জেটে করে। জেট স্কিইং সাধারণত খুব বেশি উত্তাল সমুদ্রে করানো হয় না। ৪-৫ মিনিটের জেট স্কিইংয়ে প্রতিজনে খরচ পড়বে ১,০০০ টাকা।

লাবণী পয়েন্ট কক্সবাজার শহর থেকে খুব কাছেই লাবণী পয়েন্ট। বাংলাদেশে সার্ফিং এখন জনপ্রিয় খেলা। তাই স্থানীয় প্রশাসন লাবণী পয়েন্টে সার্ফিং ক্লাবের জন্য অস্থায়ী সার্ফিং কুটির স্থাপনের সাময়িক অনুমতি দিয়েছে।

হিমছড়ি হিমছড়ি কক্সবাজারের ১৮ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থিত। ভঙ্গুর পাহাড় আর ঝর্ণা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। বর্ষার সময়ে হিমছড়ির ঝর্ণাকে অনেক বেশি জীবন্ত ও প্রাণবন্ত বলে মনে হয়। হিমছড়িতে পাহাড়ের চূড়ার রিসোর্ট থেকে সাগরের দৃশ্য দেখা যায়। এছাড়া আপনি প্যারাগ্লাইডিং করতে পারবেন।

ঝাউতলী সমুদ্র সৈকত হিমছড়ি থেকে অটোতে করে ঝাউতলী যাওয়া যায়। এই সৈকতে খুব কাছেই ঝাউ বনের সারি। সেজন্যই হয়তো এর নাম ঝাউতলী। সৈকতের ধারে মাছধরা বড় ট্রলার রয়েছে। কাঠের এই ট্রলারগুলো যেন সৈকতের সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

ইনানী সমুদ্র সৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত ইনানী প্রবাল গঠিত সমুদ্র সৈকত। পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের তাই জায়গাটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি পর্যটন আকর্ষণ। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী যেতে হয়। ইনানী বীচে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি। অনেকটা সেন্টমার্টিনের মতোই।

কলাতলী সমুদ্র সৈকত কলাতলী বীচকে বানানো হচ্ছে পর্যটকদের গেটওয়ে। এ লক্ষ্যে কলাতলী বিচে তৈরি হচ্ছে বিশাল আকৃতির দৃষ্টিনন্দন প্রবেশদ্বার।

শামলাপুর সমুদ্র সৈকত টেকনাফের কাছে বাহারছড়া ইউনিয়নের পাশের শামলাপুর সমুদ্র সৈকত। মাছ ধরার নৌকা আর জেলেরা ছাড়া সেভাবে কোনো মানুষজন চোখে পড়বে না। এখানে নির্জনতাও একটা বড় ব্যাপার।

আরও খবর