আন্তর্জাতিক ডেস্ক – সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১৩ রোহিঙ্গাকে। সোমবার (৭ জানুয়ারি) রাত ২টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০২ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। বর্তমানে তারা ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে আছেন।
এদিকে সৌদির জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট সূত্রে জানা গেছে, কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে দেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর বিষয়ে উভয় সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনা চলছিল। এদের বেশিরভাগ ২০১১ সালের পর মিয়ানমারের নিপীড়ন এড়াতে ও জীবিকার তাগিদে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরব যায়। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও নেপাল থেকে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে সৌদি আরবে পাড়ি জমাচ্ছে। সৌদি আরবে প্রবেশের পরই বিদেশি পাসপোর্টধারী সবাইকে সৌদি অভিবাসন কর্তৃপক্ষকে আঙুলের ছাপ দিতে হয়। ২০১০ সালে এই ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়। এতে করে ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ধরা পড়ছে। এই ব্যবস্থার আগে যাদের আটক করা হয়েছে তাদের চিহ্নিত করতে স্থানীয় রোহিঙ্গাদের সহায়তা নেওয়া হতো।
বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রোহিঙ্গা ফেরত আসার বিষয়ে আমিও শুনেছি। তারা ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে আছেন।’
প্রসঙ্গত, ১৯৫১ সালে রিফিউজি কনভেনশন অনুযায়ী কোনও শরণার্থী নীতি নেই সৌদি আরবের। ফলে শরণার্থীদের কাজের অনুমতি কিংবা চলাচলের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হয় না দেশটির। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে সৌদি আরবেই সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গার বসবাস। ১৯৭৩ সালে বাদশা ফয়সালের সময় মিয়ানমারে সহিংসতার শিকার রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-