সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল
ইট ভাটায় চলছে ইট তৈরির কাজ। আর বেশিরভাগ ইটভাটায় নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ উঠে আসছে প্রতিনিয়ত।
বিশেষ করে কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের খরুলিয়া এলাকায় পরিবেশের অনুমতি ছাড়াই ফসলি জমি থেকে মাটি কাটার মহোৎসব চলছে। অভিযোগ উঠেছে, দিন-দুপুর ও প্রকাশ্যে ফসলি জমি থেকে বেপরোয়াভাবে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন একই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান সলিমুল হক ও ওবাইদ সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে। সিন্ডিকেটের অন্যরা হলেন মোস্তাক ও ফয়েজ। এর কারণে সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট পরিবেশ ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তারা এসব কাজ করেছে।
এদিকে পূর্বেই সড়কগুলোর তুলনামূলকভাবে ভালো অবস্থায় থাকলেও ইতোমধ্যে মাটি নিয়ে বেপরোয়াভাবে ডাম্পার চালানোর কারণে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। পাথর ও ইটের খোয়া বেরিয়ে যাওয়ায় এসব রাস্তা দিয়ে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ নানা ধরনের যান ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঝিলংজা ইউনিয়নের খুরুলিয়া এলাকায় দিন-দুুপুরে ১০/২০টির মতো ডাম্পার দিয়ে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটেছে। এই প্রকল্পে আবাদি জমি রয়েছে প্রায় ১০০ একের অধিক। এই ইট ভাটার কারণেই এ পরিমাণ আবাদি জমি ঝুঁকিতে পড়বে। এছাড়াও সদর উপজেলা ও রামু উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কোন ধরণের ছাড়পত্র ছাড়াই ফসলি জমি থেকে মাটি বিক্রির মহোৎসব চলছে।
এ ব্যাপারে অবৈধভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি ইট ভাটায় করা ওবাইদ বলেন, ‘আমি নিয়ম মেনে আমার রেজিষ্ট্রী জমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছি। নিউজ করলে কিছুই হবে না বলে ফোন কেটে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খুরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক জানান, প্রকাশ্যে এভাবে ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করেছে। মাটি নিয়ে বেপরোয়াভাবে ডাম্পার চালনোর কারণে সড়ক দূর্ঘটনা বাড়ার পাশাশাশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে শিক্ষার্থীসহ এলাকার মানুষজন। এর মধ্যে অন্যতম চোখের রোগ ও শ^াসকষ্ট । এছাড়াও এলাকার ফসলের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
এবিষয়ে খরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (প্যানেল চেয়ারম্যান) সলিমুল হক বলেন, আমি কোন ধরণের ফসলি জমি থেকে মাটি কাটেনি। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ.এইচ এম. মাহফুজুর রহমান বলেন, ফসলি জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে আমরা কোন ছাড়পত্র দেইনি। তবে পরিবেশে এসব ছাড়পত্র দেয়। যদি কোন অভিযোগ এলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
বিষয়টি জানতে কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকে সাইফুল আশ্রাবকে বেশ কয়েকবার ফোন করা হলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-