চকরিয়ায় জুয়া খেলা বন্ধ করতে গিয়ে গ্রামবাসীর সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

আবদুল মজিদ ,চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়াড়ি ও গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রনে আনেন। রেবার দুপুর ১টার দিকে পৌরসভার তরছঘাট-ভেওলা কাঠের সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চকরিয়া পৌরসভার তরছঘাট-পূর্ববড়ভেওলা কাঠের সেতুর পশ্চিমের উত্তর ও দক্ষিণ পার্শ্বে ২টি এবং শাহারবিল ইউনিয়নের পূর্বপাড়া মনপুরা টেইলার্স এলাকায় ১টি, বাটাখালী সেতুর দক্ষিণ পার্শ্বে ২টিসহ একাধিক স্থানে কতিপয় প্রভাবশালী মহল জুয়া আসর বসিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। জুয়ার আসরে তরছঘাট, কসাইপাড়া, মাইজঘোনা, সাহারবিল, ভেওলা, বেতুয়াবাজার ও চকরিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার অসংখ্য জুয়াড়ি এসে লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলে। ইতিপূর্বে ওই জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে জুয়া খেলার টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় মাতামুহুরী নদীতে পড়ে মারা যায় পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কসাইপাড়া গ্রামের ওমর আলীর পুত্র মহিউদ্দিন নামে এক জুয়াড়ি। এর রেশ না কাটতেই ফের শুরু হয়েছে জুয়ার আসর। দিন-রাত চলে এসব জুয়া বাণিজ্য।

সর্বশেষ রোববার দুপুরে তরছঘাট কাঠের সেতুর পশ্চিম পার্শ্বে দুইটি জুয়া খেলায় ধাওয়া করে পূর্ববড়ভেওলার স্থানীয় গ্রামবাসী। মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা যুবলীগ নেতা সৈয়দ মঈনুদ্দিন হাসান সজিবের নেতৃত্বে শতাধিক গ্রামবাসী জড়ো হয়ে দুপুর ১ার দিকে জুয়াড়িদের ধাওয়া করলে তরছঘাট কাঠের সেতু দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে ৩০/৩৫জন জুয়াড়ি পূণরায় জড়ো হয়ে হাতে দা-কিরিছ নিয়ে পূর্ববড়ভেওলা এলাকার প্রতিরোধকারী গ্রামবাসীকে ধাওয়া করার চেষ্টা করলেও তোপের মুখে ফের পালিয়ে আসে জুয়াড়িরা। খবর পেয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নির্দেশে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ইসমাইলের নেতৃত্বে পুলিশদল নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওই সময় এক জুয়াড়িকে পুলিশ আটক করলেও তাৎক্ষনিক শাস্তি দিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলার বশিরুল আইয়ুবের মধ্যস্থতায় ছেড়ে দেন। এদিকে জুয়া খেলা পরিচালনাকারী জানায়, তারা জুয়া বাণিজ্য চালাতে গিয়ে থানায় মাসোহারা দেন এবং থানার টাকা উত্তোলনকারী বাবুলকেও ব্যক্তিগতভাবে প্রতি খেলায় ৫ হাজার টাকা করে দিতে হয়। এদিকে অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া থানার এসআই মো: ইসমাইল এ অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান।

আরও খবর