বিশেষ প্রতিবেদক :
উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা বিপুল চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেনীর অসাধু চক্র পাহাড় কেটে মাটি পাচার, খাল, ছড়া, নদী থেকে বালি উত্তোলন, বনভুমির দখল বিক্রি অব্যাহত রেখেছে।
বিশেষ করে স্থাপনা নির্মান কাজে ব্যবহ্নত কাঠ সম্পদ চিড়াইয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ অবৈধ উপায়ে বাজারজাত করা হচ্ছে। সরকারি বন সম্পদ ধ্বংসের কাজে ব্যবহ্নত যন্ত্রদানব খ্যাত অবৈধ প্রায় অর্ধশতাধিক করাত কলে দিবারাত্র সাইজ করা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির কাঠ সম্পদ। পরিবেশবাদী সচেতন ব্যক্তিবর্গের অভিযোগ, বনকর্মীদের নাকের ডগায় প্রকৃতি ধ্বংসেরমত গুরুতর অপরাধ প্রবনতা চলতে থাকলেও প্রতিরোধের উদ্যোগ নেই।
কক্সবাজার বন সংরক্ষন পরিষদের সভাপতি সাংবাদিক দিপক শর্মা জানান, উখিয়া টেকনাফে রোহিঙ্গা আশ্রয়ের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনেকেই নানা অপকর্মের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপকৌশল অবলম্বন করে প্রকৃতির উপর ভয়ংকর আঘাত হেনেছে। যা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের পরবর্তী ২০ বছরেও পূরণ হওয়ার কথা নয়।
তিনি বলেন, সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত বনকর্তা ব্যক্তিরা যদি নিজ দায়িত্বে অবিচল থাকতো তাহলে নির্বিচারে পাহাড় কাটা, অবৈধ বালি উত্তোলন, বনভুমির দখল হস্তান্তর ও বন সম্পদ ধ্বংসের কাজে ব্যবহ্নত করাতকল গুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো। তাহলে গত ১৭ মাসে যে পরিমান পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে তা হয়তো আরো কমিয়ে আনা যেত। তিনি এই মূহুর্ত্বে জলবায়ু পরিবর্তনেরমত ভয়বহ পরিবেশ বিধ্বংসী তান্ডব পতিরোধে এগিয়ে আসার জন্য সচেতন মহলের প্রতি আহবান জানান।
থাইংখালী গৌজঘোনা, কুতুপালং, কচুবনিয়া, বালুখালী, পালংখালী, ফলিয়াপাড়া, হাজির পাড়া, হরিণমারা, কোটবাজার, ঝাউতলা, ভালুকিয়া, মরিচ্যা. রুমখা বাজার এলাকাসহ বিশেষ বিশেষ জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসানো হয়েছে প্রায় অর্ধশতাধিক অবৈধ মিনি সমিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এসব অবৈধ সমিলে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট কাঠ চিড়াই করা হচ্ছে। যা সংগৃহিত হচ্ছে সরকারি বনাঞ্চল থেকে। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, এসব অবৈধ সমিল প্রতিষ্টার নেপৈথ্য বন বিভাগ সংশ্লিষ্ট কতিপয় বনকর্মীর হাত রয়েছে। তা না হলে প্রশাসন এসব অবৈধ সমিল উদ্ধারে অভিযান চালানোর আগেই সংশ্লিষ্টরা নিরাপদে সমিল গুলো সরিয়ে নিতে সক্ষম হয় কি ভাবে?
এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উখিয়া সদর বনবিট কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, কক্সবাজার দক্ষিন বনবিভাগীয় কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানিয়ে তার মুঠোফোনের সংযোগ কেটে দেন। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, জীববৈচিত্র ও পরিবেশ রক্ষার্থে অবৈধ ভাবে প্রতিষ্টিত সমিল গুলো আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-