গত ৪ জানুয়ারী পুলিশ পরিচয়ে টেকনাফ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর পরিদর্শকের একজন ইয়াবা কারবারীর বাড়ী থেকে টাকা ও স্বর্ন লুট করার অভিযোগ এনে কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজার,দৈনিক সকালের কক্সবাজার,দৈনিক আপন কন্ঠসহ বেশ কয়েকটি অন-লাইন নিউজ পোটালে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। এই সংবাদটি মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত। কারন অপরাধী চক্রের মুলহোতারা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের মাদক বিরোধী সাঁড়াশী অভিযানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য জাতির বিবেক সাংবাদিক ভাইদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে টেকনাফ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ-প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে গত ৩ জানুয়ারী দুপুর ১৩.৩০ ঘটিকায় টেকনাফ মডেল থানার আওতাদ্বীন সদর ইউনিয় রাজারছড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারী ও এক সময়ের মানব পাচারকারী মৃত সুলতান আহাম্মদের পুত্র মোহাম্মদ আলীর বসত বাড়ীতে আমার নেতৃত্বে আনসার ব্যাটালিয়ন ও টেকনাফ মাদকদ্রব্য অফিসের বিভাগীয় স্টাফদের সাথে নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে আমরা বিধি মোতাবেক মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী রহিমা খাতুন,তার মেয়ে পারভিন আক্তার,ও ২ জন স্থানীয় নিরপেক্ষ সাক্ষী মৃত রশিদ আহাম্মদের পুত্র মোঃ আব্বাস (৩৫),মৃত জাফর আলমের পুত্র মোঃ করিম(২০)কে আমাদের পরিচয় প্রদান করার পর চিহ্নিত অপরাধী মোহাম্মদ আলীর বাড়ীতে তল্লাশী করি। তল্লাশী কালে উক্ত বসত ঘর হতে কোন মাদকদ্রব্য উদ্ধার হয় নাই এবং কোন প্রকার টাকা পয়সা বা অন্য কোন মুল্যবান সামগ্রী নেয়া অথবা নষ্ট করা হয় নাই। এরপর অভিযান শেষে নিস্ফল অভিযানের প্রতিবেদন প্রস্তুত করে সাক্ষীদের স্বাক্ষর ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত মোহাম্মদ আলীর বড় মেয়ে পারভীন আক্তার এর স্বাক্ষর গ্রহন করে অভিযানস্থল ত্যাগ করি।
কিন্তু আমরা চলে আসার পর অত্র এলাকার চিহ্নিত অপরাধীদের ইশারায় আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপ-প্রচারে লিপ্ত হয় তারা।
এদিকে গোপন সংবাদের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি যে (১) মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মানব পাচার মামলা নং-০৩(০৭)১৩, (২) মোহাম্মদ আলীর বড় ছেলে আব্দুল কুদ্দুস প্রকাশ আব্দুল্লাহ(২৫)এর বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৫৫ তারিখ ২৭/৮/২০১৮ ও মামলা নং-৫১(০৪)১৪, এছাড়াও মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও অন্য ছেলে মেয়ের বিরুদ্ধে মাদককারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র আরো জানা যায়, মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী ও রহিমা ও মেজ মেয়ে পারভিন ২ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়ে হাজত বাস করেছিল। সেই মামলাটি এখনো চলমান আছে। অথচ স্বপরিবারে মাদক ব্যবসা ও মানবপাচারে জড়িত চিহ্নিত মাদক সম্রাট মোহাম্মদ আলী অত্র এলাকার অপরাধী গোষ্টির প্ররোচনায় আমাদের বিরুদ্ধে টাকা ও স্বর্ন লুট করার মিথ্যা অভিযোগ এনে গনমাধ্যমে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। পাশাপাশি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর,টেকনাফ সার্কেল এর মাদক বিরোধী চলমান অভিযানকে বাধাগ্রস্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য ঘৃন্য অপচেষ্টার অংশ হিসাবে আমাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে আমার নিকট প্রতীয়মান হওয়ায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নিবেদকঃ-মোঃ আব্দুস সালাম,পরিদর্শক(ভারপ্রাপ্ত)
অস্থায়ী সার্কেল টেকনাফ,
জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন কার্যালয় কক্সবাজার।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-