সাইফুল ইসলাম, কক্সবাজার জার্নাল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ব্যস্ত থাকার সুযোগে ঝিলংজার লম্বা ঘোনায়া ইয়াবা ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নানা পেশার লোকজন অধিক লাভের আশায় এ পেশায় ঝুকছে। ছাত্র, যুবক, চাকরীজিবী থেকে শুরু করে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত জড়িয়ে পড়েছে মরন নেশা ইয়াবা ব্যবাসায়। এই ব্যবসা করে তারা নতুন নতুন টানা পালসার হাকিয়ে দিব্যি এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সচেতন মহলের দাবি, মাঝে মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীকে আটক করলেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অল্প দিনেই জামিনে ছাড়া পেয়ে ফের মাদক ব্যবসায় জড়িত হয়ে পড়ে এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড লিংক রোড বিসিক এলাকার লম্বা ঘোনায় চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি ঝিলংজার লিংক রোডের বিসিক এলাকার লম্বা ঘোনায় দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসা ও পাচার করে আসছে একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে দেন মোবারক হোসেন। তার সহযোগি হিসেবে কাজ করছে একই এলাকার সিরাজুল ইসলাম, কালা ভুড়ি, মনির আলম, শফি আলম, মোবারক হোসেন, ছফুর আহমদ, নুর খায়েদা, খুশিদ আলম ও রশিদা বেগম প্রকাশ পাগলি রশিদা। এছাড়াও ওই এলাকায় আরও অনেকেই ইয়াবার সাথে জড়িত রয়েছে। এসব চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এমন অভিযোগ লোকে-মুখে শুনা যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুব অল্প সময়ের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে এসব ব্যবসায়ীরা। তারা দেদারচে এলাকায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে গেলেও স্থানীয় প্রশাসন নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে। সূত্রে জানায় তাদের কাছে এলাকার জন প্রতিনিধিরা সময়ে অসহায় হয়ে পড়ে। এলাকার ছাত্র যুবক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এ পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।
এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন জানান, সম্প্রতি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এলাকা ইয়াবা ব্যবসায়ী তৎফর হয়ে উঠেছে। বর্তমানে মরন নেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে অনেকেই। নতুন নতুন টানা গাড়ি হাঁকিয়ে প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে এ ব্যবসা। ইয়াবা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম ইতিমধ্যেই জেলায় ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেতে শুরু করছে।
সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল থেকে শুরু করে ঝিলংজার ইউনিয়নের বিসিক এলাকার লম্বাবিল, পিএমখালী, বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি বিশাল সিন্ডিকেট রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মরণ ঘাতক ইয়াবা ও চোরাচালানীর সাথে জড়িয়ে পড়লেও আইন শৃংখলা বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় বেপরোয়া হয়ে দিনের পর দিন ইয়াবার চালান পাচার করে আসছে এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। অথচ পুলিশ তাদের অপকর্মের বিষয়ে নিরব ভুমিকা পালন করেছে। তাদের ইয়াবা ব্যবসার পরিধি শুধু কক্সবাজার নয়, চট্টগ্রাম, কুমিল্লাহ, ফেনীসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তাদের সিন্ডিকেট রয়েছে।
তারা কক্সবাজারের বাসিন্দা হওয়ায় কিভাবে কৌশলে ইয়াবা পাচার করতে হয় তা ভালোভাবে জানা আছে। এমনকি তাদের সাথে কক্সবাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকার ইয়াবা গডফাদারের সাথে আতাঁত রয়েছে বলে সূত্রে জানা যায়।
সিন্ডিকেটের কতিপয় ক জন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ বয়সে ছোটখাট ব্যবসা করাটাই স্বাভাবিক। বৈধ কি না জানতে চাইলে উল্টো অবৈধ হলে কি করবে বলে প্রশ্ন তুলেন তারা। তারা আরো জানান, রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার জন্য এ ব্যবসা সেরা। সচেতন মহল এসব মরণ নেশা অবৈধ মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ঝিলংজা লম্বা ঘোনার অভিযুক্ত মোবারকের সাথে কথা বললে আমি কোন ধরণের ইয়াবা সাথে জড়িত নেই বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. ফরিদ উদ্দীন খন্দকার বলেন, ইয়াবা ব্যবসায়ী আটক করার জন্য প্রশাসন সর্বদা শক্ত অবস্থানে রয়েছে। ইয়াব ব্যবসায়ী যতো বড়ই প্রভাবশালী হউক না কেন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-