ডেস্ক রিপোর্ট- বদলে যাচ্ছে দেশের অন্যতম প্রধান পর্যটন নগরী কক্সবাজারের বর্তমান অবস্থা।কক্সবাজারে ৬৯টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রায় ১৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকগুলো প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। দু-একটি ছাড়া বেশিরভাগ প্রকল্পের অবকাঠামো নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার মেরিনড্রাইভ সড়কের উদ্বোধন হয়েছে। কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পরিণত করার কাজ এগিয়ে চলেছে। অধিকাংশ পর্যটক সড়ক পথে যাতায়াত করে থাকে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক পথের হাট-বাজারগুলোর কারণে পর্যটকদের নিত্য যানজটের মধ্যে পড়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। সরকার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কপথের উন্নয়নে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তাছাড়া কক্সবাজারের সঙ্গে সরাসরি রেল যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু হয়ে গেছে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। রেলপথ, ব্রিজ, কালভার্ট, রেলস্টেশনের কাজ চলছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে রেললাইনের কাজ শেষ হবে এবং রেল চলাচল শুরু হবে। এই রেলপথ মিয়ানমার পর্যন্ত সম্প্রসারণ করা হবে। আন্তঃএশিয়া রেলপথের আওতায় এই রেলপথের কাজ চলছে।
দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত দীর্ঘ ১২৮ কিলোমিটার পথ সবুজ পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে যাবে। কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে কক্সবাজারের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হবে।কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ সড়ক চালু হওয়াতে টেকনাফের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হয়ে গেল। শুধু তাই নয় পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভ সড়কে চলাচল করতে যেয়ে একপাশে সাগর অপর পাশে সবুজ পাহাড়ের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারছেন। নাফ নদীর পাশে ২৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে নাফ ট্যুরিজম পার্ক। যা হবে দেশের প্রথম বিশেষায়িত পর্যটন অঞ্চল। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। পৃথিবীর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর আদলে এখানে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের জন্য আরো আকর্ষণীয় ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকরা যেসমস্ত সমস্যার মুখোমুখি হন সেগুলো দূর করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন প্রচারণা চালাচ্ছে। কক্সবাজারের উন্নয়নে সরকার যেসব উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো যদি বাস্তবায়িত হয় তবে কক্সবাজারের চেহারাই পাল্টে যাবে।এশিয়ার মধ্যে সেরা পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে কক্সবাজারের নাম উঠে আসবে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনায় কক্সবাজার সারা বছর মুখরিত থাকবে। পর্যটকদের আনাগোনায় এই শিল্পের আয় বাড়বে। যা নাকি দেশের পর্যটন শিল্পে নতুন প্রাণ এনে দেবে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিকে পাল্টে দেবে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের সেই স্বপ্নের বাস্তবরূপ দ্রুত বাস্তবায়িত হবে এটাই আশা করছি।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-