মানবজমিন : ভোট পর্যন্ত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশিদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। নিরাপত্তাজনিত কারণে সরকারের তরফে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে- স্পর্শকাতর ওই এলাকায় বিদেশিদের ভ্রমণে বাড়তি নিরাপত্তা দেয় সরকার। কিন্তু নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রুটিন কাজের অতিরিক্ত হিসেবে ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করেন।
কাজেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশিদের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ফোর্র্স মোতায়েন করা কঠিন। এ অবস্থায় ভোটের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত জাতিসংঘসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠনের প্রতিনিধি এবং কূটনীতিকদের যাতায়াতকে ‘নিরুৎসাহিত’ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘের অধীন সংস্থাগুলোকে সরকারের ওই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে সেগুনবাগিচার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, এ নিয়ে জাতিসংঘের অধীন সংস্থাগুলোর যারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংশ্লিষ্ট তাদের আগেই চিঠি দেয়া হয়েছে। মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভ্রমণ পরিকল্পনা না করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু তারপরও বিভিন্ন সংস্থার তরফে প্রায় প্রতিদিনই ভ্রমণ পরিকল্পনার চিঠি আসছে। বিষয়টি বিব্রতকর, আমরা ‘না’ বলতে পারছি না। আবার হ্যাঁ-ও বলছি না। এ পর্যন্ত কত চিঠির জবাব পেন্ডিং বা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তা বলেন, আমরা কাউকেই হ্যাঁ বলছি না।
পূর্বানুমতি রয়েছে এমন ব্যক্তিদেরও নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের জানুয়ারির পর ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে বলা হচ্ছে। এ-ও বলা হচ্ছে সারা বছরই তো রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদেশি মুভমেন্ট ছিল। তাদের নিরাপত্তায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সদস্যরা মোতায়েন ছিলেন। জানুয়ারিতে সেটি পুনর্বহাল করা হবে। উল্লেখ্য, স্পর্শকাতর অন্য এলাকা পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদেশি মুভমেন্ট বন্ধের বিষয়েও প্রায় অভিন্ন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেখানে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নির্দেশনা জারির কথা রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-