সাইফুল ইসলাম,কক্সবাজার জার্নাল
কক্সবাজার জেলার চার আসনের মধ্যে তিন আসনের জন্য প্রার্থীতা চূড়ান্ত করেছে সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগ। এই আসনগুলোর মধ্যে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) জাফর আলম, কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির সহধর্মিনী শাহীন চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ।
তবে জাতীয় পার্টির সাথে আসন ভাগাভাগির পাল্লায় পড়ে ঝুলে গেছে কক্সবাজার-৩ (কক্সবাজার সদর-রামু) আসনটি। এদিকে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন-সহ গণমাধ্যমে বর্তমান সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের প্রার্থীতা চূড়ান্ত হয়েছে বলে সংবাদ প্রচার করলেও নির্ভরযোগ্য সুত্রে থেকে তা এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।
রোববার (২৫ নভেম্বর) প্রার্থীদের হাতে চুড়ান্ত দলীয় মনোনয়নপত্র তুলে দেয়া হয়েছে।
এদিকে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু) আসনটি জেলার প্রশাসনিক কর্মকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু হওয়ায় সব রাজনৈতিক দলের কাছেই সমান গুরুত্বপূর্ণ। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও নিদর্শন এখানে রয়েছে।
রামুতে সেনানিবাস, বৌদ্ধমন্দিরসহ অনেক পুরাকীর্তি বিদ্যমান। দেশের পর্যটন শিল্পের সিংহভাগ রাজস্ব আসে এই আসন থেকে। এই আসনে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচিত হলে পর্যটন শিল্প বিকাশ ও এলাকার সামগ্রিক উন্নয়নে বাস্তবসম্মত ভূমিকা পালন করতে পারবেন।
কিন্তু একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে কক্সবাজার জেলার চারটি সংসদীয় আসনের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। সদর-রামুর মতো গুরুত্বপূর্ণ আসনটি এখনো ঝুলে আছে। একেক জন একেক রকম মন্তব্য করলেও কোন তথ্য সঠিক মনে করা হচ্ছেনা।
এ আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলুকে দেয়া হয়েছে বলেও প্রচার হচ্ছে। ফাইপ লাইনে আছেন জেলা মহিলা অওয়ামী লীগের সভানেত্রি কানিজ ফাতেমা। এদিকে, ‘বহিরাগত প্রার্থী’ ঠেকাতে এবং সাইমুম সরওয়ার কমলকে মনোনয়ন দিতে কক্সবজার শহর, সদরের ঈদগাঁও, রামুসহ বিভিন্ন স্থানে কলাগাছ রোপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে তার সমর্থকেরা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-