গিয়াস উদ্দিন ভুলু,কক্সবাজার জার্নাল
টেকনাফে পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারীকে নিয়ে পুলিশী অভিযানে বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র ইয়াবা ও মূমুর্ষ দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা যায়,২৫ নভেম্বর রাত আড়াই টারদিকে পুলিশের হাতে আটক তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারীকে নিয়ে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ নোয়াখালী পাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে থানা পুলিশের এসআই শরীফুল (৩৫), কনস্টেবল ছোটন দাশ (২৩) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হয়।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। কিছুক্ষণ পর মাদক কারবারীরা পিছু হঠলে ঘটনাস্থল তল্লাশী করে গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত ১ব্যক্তি,৩টি অস্ত্র ও ২০হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ ও রক্তাক্ত ব্যক্তিকে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। সে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়ার হাজী ইসলামের পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৪) বলে পরিচয় নিশ্চিত করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে জানান, আটক ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৩১নং তালিকাভূক্ত ইয়াবা কারবারী ও একাধিক মামলার আসামীকে নিয়ে পুলিশ অভিযানে গেলে ওঁৎপেতে থাকা তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩জন পুলিশ আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টাগুলিবর্ষণ করলে ঘটনাস্থলে ইয়াবা কারবারী জিয়াউর রহমান রক্তাক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়।
এদিকে নিহত জিয়াউর রহমানের পরিবারের দাবী, গত ২০ সেপ্টেম্বর তাদের ছেলে জিয়াউর রহমান ৩ সন্তানের জনক ৩ মাসের জন্য তাবলীগ জামায়াতে গমন করেন। এরপর গত ২৩ নভেম্বর শুক্রবার রাত ১০টার দিকে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া এলাকার একটি মসজিদ থেকে পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোষাকধারী কিছু লোক তাকে তুলে নিয়ে যায় বলে তার সাথে থাকা তাবলীগের সহপাটিরা পরিবারকে জানায়।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-