গিয়াস উদ্দিন ভূলু :টেকনাফ
টেকনাফ থানা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সাবরাং ইউনিয়ের এক সময়ের আলোচিত নজির ডাকাত ও হ্নীলা এক ইয়াবা কারবারী আব্দুল আমিন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসময় ৪ পুলিশ সদস্য আহত হলেও ঘটনাস্থল হতে অস্ত্র, বুলেট এবং ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, ২১ নভেম্বর ভোররাত সাড়ে ২টারদিকে নজির ডাকাতকে সাথে নিয়ে সাবরাং কাঠাবনিয়া মেরিন ড্রাইভ এক্সক্লুসিবজোন এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে ইয়াবা বিরোধী অভিযানে গেলে নজির ডাকাতের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশের এসআই খাইরুল আলম (৩৮), কনস্টেবল রুমন (৩৪), মং ছিং প্রু (৩৮) ও আব্দুস শুক্কুর (২২) আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করলে তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।
পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে ৪টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র, ২১ রাউন্ড গুলি, ১০ হাজার ১শ ৫০ পিস ইয়াবা ও ২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। আহত পুলিশ সদস্যদের উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃতদেহ থানায় এনে পরিচয় সনাক্ত করে সাবরাং কচুনিয়ার আব্দুর রহিমের পুত্র নজির আহমদ প্রকাশ নজির ডাকাত (৩৮) এবং হ্নীলা জাদিমোরা নয়াপাড়ার আমির হামজার পুত্র আব্দুল আমিন (৩৫) বলে সনাক্ত করে।
তথ্য সুত্রে আরো জানা যায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত দুই জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় ডাকাতি, মাদকসহ নানা অপরাধে সম্পৃক্ত ১২/১৪টি মামলা রয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করার জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ কক্সবাজার জার্নালকে জানান, আটক কুখ্যাত নজির ডাকাতকে নিয়ে অভিযানে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে ৪ পুলিশ আহত হয়। এময় অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি আরো বলেন অত্র এলাকার মাদক কারবারী ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের নির্মুল করতে আমাদের পুলিশ সদস্যদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-