ডেস্ক নিউজ :
উখিয়া সীমান্তের থাইংখালী রহমতেরবিল গ্রামের কলিমুল্লাহ বলির ছেলে কামাল উদ্দিন বোট তৈরির কাঠ মিস্ত্রি থেকে হঠাৎ ইয়াবা ব্যবসার সাথে জড়িয়ে রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিনত হয়ে শূণ্যে থেকে কোটিপতির খাতায় নাম লিখিয়েছেন। পরে ইয়াবা পাচারের সহজ কৌশল হিসাবে বেচেঁ নিয়েছেন ডিপার্টমেন্টাল কাপড়ের দোকানের ব্যবসা।
এলাকাবাসীরা বলেন, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির ছত্রছায়ায় লালিত কামাল বৃহত্তর সিন্ডিকেট গড়ে তোলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হাড়ি হাড়ি ইয়াবা পাচার করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, ঢাকা, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কামালের ইয়াবার চালান নিয়ে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হাতে আটক হয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন পাচারকারী জেল হাজতে রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত ১৮ অক্টোবর থাইংখালী রহমতেরবিল সড়কে সাধু কামালের দোকানের সামনে ইয়াবার বৃহত্তর চালান নিয়ে পাচারকারী জিয়াউর রহমান আটক হলেও চতুর ও সাধু থাইংখালী সীমান্তের শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার কামাল উদ্দিন প্রকাশ ইয়াবা কামাল আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে অল্পের জন্য গ্রেপ্তারের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় নুর বানু মেম্বারের ছেলে সোহেল জানান, কামাল উদ্দিন পার্শ্ববর্তী মিয়ানমারের শীর্ষ ইয়াবাকারবারী নজিবুল হক, চিকুইন্নসহ শীর্ষদের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলার পাশাপাশি এলাকার উঠতি বয়সী যুবকদেরকে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখিয়ে বৃহত্তর সিন্ডিকেট তৈরি করে সারা দেশ ব্যাপী লাখ লাখ পিস ইয়াবা পাচার করে গড়ে তোলেছে কালো টাকার পাহাড়।
উক্ত কালো টাকার পাহাড় দিয়ে সে নামে বেনামে ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার মতো গুরুত্ব পূর্ণ শহরে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ক্রয় করেছে।
স্থানীয় সচেতন মহলরা বলেন, ইয়াবা কামালদের মতো জঘন্য মাদক ব্যবসায়ীদেরকে গ্রেপ্তার পূর্বক ক্রস ফায়ারের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র্যাব ৭ কক্সবাজারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-