উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে কর্মরত নার্স রাজশাহী নওদা পাড়া গ্রামের শামিউল ইসলামের মেয়ে সুমী আকতার (২২) কে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে একই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের বিবাহিত ছেলে মোঃ মনিরুল ইসলাম (২৬) নিজেকে অবিবাহিত দাবী করে বিয়ের নামে প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় সুমীর অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যাম্প পুলিশ ভন্ড প্রেমিককে আটক করে বুধবার সকালে উখিয়া থানায় সোপর্দ করে। উখিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জকে তাদের প্রেমের বর্ণনা দিতে গিয়ে সুমী দু চোখের পানি ফেলে বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া চলে আসছে।
সুমী বলেন, সে একজন বেকার তার এটিএম কার্ডে রক্ষিত সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার পর ক্যাম্পে স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ৩ মাস একই সাথে বসবাস করে তার সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
এসময় সুমী বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ার অবস্থা দেখে উপস্থিত সাংবাদিক, রাজশাহীর বাসিন্দা পল্লী বিদ্যুৎ এর ডিজিএম বিব্রত বোধ করছিল। বেশ কিছুক্ষন পর সুমী আবার বলতে শুরু করে। তখনো তার সারা অঙ্গ কাপছিল।
অবস্থা বেশামাল দেখে ওসি তাকে বেশ কিছুক্ষন শান্তনা দিয়ে বলেন, হয় তোমাকে বিয়ে করতে হবে নয় তো বা প্রতারক মনিরকে সারা জীবন জেলের ঘানি টানতে হবে। এমন আশ্বাস পেয়ে সুমী বলেন বৃহস্পতিবার তাকে বাড়ীতে গিয়ে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে ৪২ হাজার টাকা মাসিক বেতনের চাকরী ছেড়ে দিতে বলেল প্রেমিকের উপর বিশ্বাস রেখে সুমী বৃহস্পতিবারই বিকালে তার অফিসে রিজাইন লেটার দিয়ে আসে।
সুমীর বক্তব্য শেষে অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের মনিরুল ইসলামের সাথে কথা বলে জানতে চান সুমীর টাকা পয়সা, ইজ্জত আব্রƒ সব কিছু তুমি ছিনিয়ে নিয়েছ। এখন বল তুমি সুমীকে বিয়ে করবে কিনা ? না আইন অনুযায়ী জেলে যাবে। প্রতি উত্তরে ভন্ড প্রেমিক মনিরুল ইসলাম বলেলন সে জেলে যেতে প্রস্তত রয়েছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-