নিজস্ব প্রতিবেদক – আহ্বায়কের বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় উখিয়ার উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের কমিটি বাতিল করেছে কক্সবাজার জেলা যুবলীগ।
সোমবার রাতে জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস শেয়ার করে ওই কমিটি বাতিল ঘোষণা দেন। পরে তিনি মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেল জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর পরই জেলা যুবলীগের পক্ষ থেকে তিনিও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তখন থেকেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতা খতিয়ে দেখার জন্য আলাদা নজরদারি শুরু হয়।
সম্প্রতি জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ফজল কাদেরের বিরুদ্ধে ইয়াবা সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে। পরে যুবলীগের পক্ষ থেকে তদন্ত করে ওই অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর সোমবার ওই কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, ইয়াবার আগ্রাসনের কারণে কক্সবাজারের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। যুবলীগ এই ইয়াবা আগ্রাসন ঠেকাতে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তাই মাদকের বিষয়ে কোন ছাড় নয়। হোক সে যত বড় নেতা।
জানা গেছে, জালিয়াপালং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ফজল কাদের একজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী। মেরিন ড্রাইভ সড়ক কেন্দ্রীক বিশাল একটি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। তার সিন্ডিকেট রয়েছে জালিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তর সোনারপাড়া এলাকার নবী হোসেনের ছেলে সালাউদ্দিন, একই এলাকার শামসুল আলমের ছেলে জালাল, মো. হাছানের ছেলে সাহাব উদ্দিন, নজির হোসেন নাজুর ছেলে জয়নাল উদ্দিন, ফরিদ আলমের ছেলে মো. বেলাল।
যুবলীগের আহ্বায়ক ফজল কাদেরের বাড়ি ডেইলপাড়া এলাকায়। গত দুই সপ্তাহ আগে র্যাব ফজল কাদেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। এর কয়েকদিন পর মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজুখাল ব্রিজ সংলগ্ন বিজিবির তল্লাশিপোস্টে ফজল কাদেরের ইয়াবা পাচারের সময় আটক হন তার সিন্ডিকেটের সদস্য সিএনজি চালক ফারুক। ওই ঘটনায় ফজল কাদেরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রামু থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, র্যাব বাড়িতে অভিযান চালানোর পর থেকেই পলাতক যুবলীগ নেতা ফজল কাদের। বেশ কয়েকদিন ধরে তাকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-