ফারুক আহমদ,উখিয়া
বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থার মাত্রা অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল ও অনিয়ন্ত্রিত যানবাহন চলাচলের কারণে উখিয়া-টেকনাফ সড়কে ভয়াবহ যানজটের পাশাপাশি সড়ক দূর্ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিন সড়ক দৃঘটনায় ঝড়ে যাচ্ছে তাজা প্রাণ। মারাত্মক আহত হয়ে পঙ্গু বরণ করেছে সংখ্য যাত্রী।
রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা দিকে উখিয়ার কোর্টবাজারস্থ উত্তর পার্শ্বে ধুরুমখালী নামক স্থানে যাত্রিবাহী বাস- ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্ত:ত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উদ্ধার করে উখিয়া ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৎমধ্যে ৭জনের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,সড়ক দৃঘটনার কারণে ২ ঘন্টা সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এসময় সড়কের দু’পার্শ্বে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে । শুরু হয় ভয়াবহ যানজট। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনলে গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।
সচেতন মহল বলেন, রোহিঙ্গারা উখিয়ার কুতুপালংসহ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার পর থেকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কে মাত্রা অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল বেড়ে গেছে। রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থার হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করছে এ সড়ক দিয়ে তা ছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন পণ্য ও মালবাহী ট্রাক ডুকছে। বাঁশ, গাছ, ইট, বালু ও ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে অসংখ্য ট্রাক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলাচলের কারণে সড়কে ধারণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে । তৎমধ্যে বেপরোয়া ও দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচলের কারণে গত ৩ মাসে ২০টি ছোট-বড় সড়ক দৃঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এতে প্রাণ হারিয়েছে ১৫ জন। আহত হয়েছে আন্ত:ত ২শতাধিক।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল মনছুর চৌধুরী জানান, সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মালবাহী ট্রাক প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ সহ প্রশাসন ব্যবস্থা নিলে সড়ক দূঘটনা প্রতিরোধ সহ যানজট কমে আসবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-