আলমগীর মাহমুদ :
লোকে বলে বলেরে ঘর বাড়ি ভালা নাই আমার
কি ঘর বানাইমু আমি শূণ্যের এই মাজার..
হাছন রাজা দু’দিনের খেলাঘরে ঘরই বানাতে চাননি। আমরা পৃথিবীর ব্যবহারকারী মালিক নই।জীবনের সুখ টুকুন ভোগ করে শেষ ঠিকানায় পৌঁছাতে আমরা হিমসিম। আমাদের যে পিছু নিয়েছে অনিরাপদ সড়ক।
এক.
হাইড্রোলিক হর্ণ ক্ষতি করে শ্রবন শক্তির। উন্নত দেশে বাজে না মানুষ সচেতন বলে। কুতুপালং আসলে এই হর্ণ টিপে ধরলে ও রোয়াইঙ্গাদের খবর হয় না। আজ রোয়াইঙ্গাদের অস্বীকার করাও যাচ্ছে না। ফেলেও দওন যায় না। ঘরে বাইরে হাজার স্বভাবী সমস্যা।
আগাতে হলে ভাবতে হবে উল্টোভাবে হাইড্রোলীগ হর্ণে শ্রবনের ক্ষতিকে ২০%। জীবনকে যদি১০০% ধরি।
তাহলে পূঁজি ১০০%-ক্ষতি ২০%–৮০% মুলক্ষতি ২০% এই ক্ষতি সব পেশার মানুষের অংশীদারিত্ব জরুরি। শুধু ড্রাইভার,শুধু রাষ্ট্র, শুধু ছাত্রদের দিয়ে অনিরাপদকে নিরাপদ সম্ভব নয়। একবারে, এক প্যাকেজে রাতারাতি!
দুই.
গাড়ীতে বিমানের মতো ব্ল্যাক বক্স সংযোজন। এক্সিডেন্টের পর ফুটেজ দেখে যেন অপরাধী নিরূপণ করা যায়।বিচার তাৎক্ষণিক ব্ল্যাকবক্স দেখে। আলাদা বিচারকের একটা ডিপার্টমেন্ট শুধু এই সংক্রান্ত বিচার করবে।
তিন.
প্রত্যেক নাগরিককে রাস্তার ডান পাশে চলতে হবে।গাড়ির আসারটাও দেখবে যাবারটার থেকেও উল্টো হলে নিরাপদ।
চার.
ড্রাইভারদের উদ্দেশ্যে বলেন, মায়াময় ছাড়া ড্রাইভারী জীবন নিরাপদ হয় না। যেমন হোটেলে খেতে গেলে কাউকে খেতে,ভাড়া না থাকলে বিনে পয়সায় নেয়া,ড্রাইভারী জীবন বেপরোয়া হলেই শেষ,খতম।
পাঁচ.
বাংলাদেশের সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সংস্থা থাকিবে যাদের কাজ হইবে প্রতিবছর সরকারি বেসরকারি প্রত্যেক স্কুল কলেজের দশজন ছাত্রকে গাড়ির চালনা শিক্ষা দিবে ব্যয় ছাত্রকে নির্বাহ করিতে হইবে।
অর্থিক অসচ্ছল হলে শিক্ষালোনের মতো ফেরত সাপেক্ষে লোন দিবে। ফ্রিতে হলে দায়বদ্ধতা হারাবে।প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান প্রধান এই দশজনের নাম দিবে।শেখা শেষে এনজিও দের মতো পাবলিক চাকুরীতে নিয়োগ দিবে।
ড্রাইভারী জগতে শিক্ষিত মানুষের আসার সাথে সাথে এ জীবনের সুবিধা অসুবিধা বুঝবে,স্কুল কলেজে যারা এজীবনের সুখ দুখে পরিচয় জানবে, চিনবে খালি লাঠি হাতে ড্রাইভার পেঠালে সব সমস্যার সমাধান আর ভাববে না।তারাই হয়ে উঠবে আমাদের ঢাল, তলোয়ার। তারাই অবুঝকে বশে আনার কৌশল নিবে, যেটা পড়ালেখার দৌড় কম বলে পারছি না আমরা।
ছয়.
উপরির ভালবাসায় যেন লাইসেন্স না পায়।বয়স দেখা। লাইসেন্স নেবার আগে একটা ট্রেনিং থাকবে যার শিখনোর প্রধান বিষয় হবে ধর্মীয়, মানবতা, ব্যবহার, স্বাস্থ্যবিধি সচেতন, রিক্রেয়েশন,রেষ্টের উপকারীতা অপকারিতা জানানো।
গন্তব্যে পৌঁছাই। নামতে উদ্ধত , ঠিক এই সময়ে নীচু ভলিউমে “স্যার আমার নাম দিল মোহাম্মদ। খারাংখালী বাড়ি। আগামীকাল ক্লাসে গেলে মনে করাইয়েন ” গাড়িতে মারামারি করে, কাল তাদের সামনে গিয়ে গাড়ীতে উঠতে তোমাদের খারাপ লাগবে না? বিদায়ী ক্ষণে ”মনের ক্ষত; মলমে যায় না! ‘স্যার ‘।..’ যায় না!!
লেখক- আলমগীর মাহমুদ
বিভাগীয় প্রধান (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ)
উখিয়া কলেজ, কক্সবাজার।
ইমেইল- alamgir83cox@gmail.com
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-