ক.জার্নাল ডটকম – ঢাকায় বাস চাপাই দুই ছাত্র- ছাত্রী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষাথীদের বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় বৃহস্পতিবার দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্টান বন্ধ ঘোষনার পরও নিরাপদ সড়কের দাবীতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছে।
এহেন পরিস্থিতিতে ছাত্রদের দাবীর প্রতি নমনীয় হয়ে সরকার নেতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় উখিয়া উপজেলা প্রশাসন শিক্ষাথীদের নিরাপদ যাতায়ত নিশ্চিত করতে আজ শনিবার থেকে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে গতকাল শুক্রবার কক্সবাজারের এক হোটেলে জেলার সবকয়টি উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ে এক বৈঠক অনুষ্টিত হয়েছে।
বৈঠকে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিবৃন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত ব্যাখ্য করে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, ছাত্র – ছাত্রীদের নিরাপদ যতায়ত ও রাস্তা পারাপারের জন্য উপজেলা সড়ক সংলগ্ন সকল শিক্ষা প্রতিষ্টানের সামনে সাবধানে যানবাহন চলাচলের নির্দেশ সম্বলিত সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে।
এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্টানের ছাত্র ছাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ের সামনে ৪ জন করে চকিদার স্কুলের ক্লাস শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দায়ত্ব পালন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
নির্বাহী কর্মকর্তা আরো বলেন, ইউনিসেফের অর্থায়নে এসব কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য স্ব- স্ব শিক্ষা প্রতিষ্টানের শিক্ষক শিক্ষার্থী স্কাউট ও পরিচালনা কমিটির সহযোগিতা চাওয়া হবে।
শিক্ষার্থীরা যাতে স্বাচ্ছন্দে স্কুলে আসা যাওয়া করতে পারে সে জন্য উপজেলা প্রশাসন, সড়ক, জনপদ বিভাগ ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার টেকনাফ সড়কের উপর অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা হাটবাজার দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, গত রোববার ঢাকার এয়ারপোর্ট রোড়ে বাস চাপাই স্কুল ছাত্র দিয়া ও রাজিব ঘটনাস্থলে নিহত হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীরা রাজপথে নেমে আসে। বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে স্কুল ছাত্র দিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর ফকির ও রাজিবের মা মুহিমা বেগমের হাতে ২০ লক্ষ্য টাকার দুটি চেক তোলেদেন। তাদেরকে শান্তনা দিয়ে বলেন, ছেলে মেয়ে হত্যাকারী গাড়ীর চালককে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-