পিএন২৪ ডেস্ক : ইয়াবা সিন্ডিকেটদের আখাড়ায় পরিনত হয়েছে উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় সোনার পাড়ায়। এক ডজন ইয়াবা কারবারী সগর ও সড়ক পথে ইয়াবার বিশাল চালান পাচারে জড়িত । পুলিশের সাথে গোপন আতাঁত করে এ ব্যবসা প্রকাশ্যে চালিয়ে যাচ্ছে। চিংডি পোনা পরিবহন ও ব্যবসার নামে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা চালান দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে আসছে। স্থানীয় পুলিশ ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সাথে গোপন আতাঁত করে এ অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, গত মার্চ মাসে সোনার পাড়া হ্যাচারী থেকে পোনা ভর্তি মাইক্রোবাসে তল্লাসী চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবার চালান আটক হয় চট্টগ্রাম কর্নফূলী থানা পুলিশের হাতে। এ সময় চালক সহ এক ব্য্িক্ত চট্রগ্রামে আটক হলেও ইয়বার মূল হোতা নুর উদ্দিন প্রকাশ স্যার কৌশলে পার পেয়ে যায়। এছাড়াও অতি সম্প্রতি ছমি উদ্দিন ও নুর উদ্দিন সিন্ডিকেটের পোনা ভর্তি ট্রাক তল্লাসী চালিয়ে বিজিবি বিপুল পরিমান ইয়াবা আটক করে। এ সময় আটক ছমি উদ্দিন জমিনে আসলেও চালক সহ খলিল নামক এক যুবক এখনও জেল হাজতে রয়েছে।
গ্রামবাসীরা আরও জানায়, জালিয়া পালং ইউনিয়নের সোনার পাড়া গ্রামের বদি আলমের পুত্র নুর উদ্দিন ও আপন ভাই ছমিউদ্দিন,জালাল উ্্্দ্দিন ও নাজুর নেতৃত্বে সমুদ্র উপকূলীয় হ্যাচারী জোনে কেন্দ্রিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট রয়েছে। মিয়ানমার ও টেকনাফের ইয়াবা সিন্ডিাকেটের সাথে তাদের সখ্যতা। চিংড়ি পোনার সাথে অভিনব কায়দায় দীর্ঘদিন ধরে ট্রাক ও মাইক্রোবাস যোগে ঢাকা,সাতক্ষীরা,যশোর সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইয়াবার চালান পাচার করে আসছে। অতিসম্প্রতী পোনার বক্সে করে ইয়াবা পাচারের সময় ছমিউদ্দিন সহ ২জন ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছিল। পুলিশের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে উক্ত সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল এমন অভিযোগ গ্রামবাসীর।
স্থানীয় ভাবে জানা যায়, উক্ত সিন্ডিকেট সাগর পথ দিয়ে ট্রলার যোগে ইয়াবার চালান সমুদ্র উপকূলীয় সোনার পাড়াতে খালাস করে। পরবর্তীতে চিংডি পোনার সাথে সুযোগ বুঝে দেশের বিভিন্ন জায়গায় পাচার করে। দি ন্যাশনাল নামক হ্যাচারী লীজ নেন তারা। অনেকের অভিযোগ মূলত পোনা ব্যবসার নামে উক্ত হ্যাচারীতে ইয়াবার চালান মজুদ রেখে উক্ত সিন্ডিকেট পোনার সাথে অভিনব কায়দায় পাচারে জড়িত।
সচেতন মহলের দাবী সোনার পাড়ায় ছমি উদ্দিন ও নুর উদ্দিন সিন্ডিকেটকে নজর দারী ও আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ইয়াবা পাচারের নেপথ্য বেরিয়ে আসবে।
গুরুতর অভিযোগ উঠেছে, পোনা ভর্তি মাইক্রোবাস ও ট্রাক তল্লাসী চালিয়ে বিপুল পরিমান ইয়াবার চালান আটক হওয়ার পরও কিভাবে ছমি উদ্দিন ও নুর উদ্দিন সিন্ডিকেট পার পেয়ে যায়, সাবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-