চীনের জাতীয় তেল কোম্পানি চায়না ন্যাশনাল অফশোর অয়েল করপোরেশন (সিএনওওসি) পূর্ব দক্ষিণ চীন সাগরে একটি বিশাল তেলক্ষেত্র বা তেলের খনি আবিষ্কার করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন এই খনিতে ১০ কোটি টনেরও বেশি অপরিশোধিত তেলের মজুত রয়েছে।
সোমবার (৩১ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
সিএনওওসির তথ্য অনুযায়ী, নতুন আবিষ্কৃত হুইঝো ১৯-৬ তেলক্ষেত্রটি দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশের শেনজেন শহর থেকে প্রায় ১৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পরীক্ষামূলক খনন থেকে প্রতিদিন ৪১৩ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল এবং ৬৮ হাজার ঘনমিটার প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ঝোউ সিনহুয়াই এই আবিষ্কারকে ‘দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্বাঞ্চলীয় জলসীমায় ধারাবাহিক সাফল্যের অংশ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘সিএনওওসি পরপর দুই বছর ১০০ মিলিয়ন টনের বেশি মজুতের তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে, যা চীনের অফশোর তেল ও গ্যাস উৎপাদনের ক্রমাগত বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।’
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন বলছে, দক্ষিণ চীন সাগরে বিশাল পরিমাণে তেল ও গ্যাস মজুত রয়েছে। তবে অঞ্চলটি বিভিন্ন দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রই এখনো অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।
চীন দক্ষিণ চীন সাগরের প্রায় পুরোটাই নিজেদের বলে দাবি করে। তবে ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া এবং ব্রুনাই এই দাবির বিরোধিতা করে আসছে। ফলে নতুন এই তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের পর ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
মার্কিন সরকারের এক বিশ্লেষণ অনুসারে, চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল আমদানিকারক দেশ। গত বছর দেশটি প্রতিদিন ১ কোটি ১১ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে।
সিএনওওসির প্রধান ভূতাত্ত্বিক জু চাংগুই এই আবিষ্কারকে ‘বড় সাফল্য’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন, এটি চীনের জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-