আইন অমান্য করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ, উচ্ছেদ করলো উখিয়ার বনবিভাগ


কক্সবাজার জার্নাল রিপোর্ট:
কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জের উখিয়া সদর বিটের বনভূমি জবরদখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠা পাঁচটি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে বনবিভাগ। শনিবার (২২ মার্চ) উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা( সহকারী বন সংরক্ষক) মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে রাজারকুল রেঞ্জ কর্মকর্তা( সহকারী বন সংরক্ষক) অভিউজ্জামান নিবিড় সহ বিভিন্ন বিটের কর্মকর্তা ও স্টাফবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, উখিয়া সদর বিটের শীলের ছড়া, টিএন্ডটি ও কুতুপালং এলাকায় বনভূমি জবরদখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করে একটি চক্র। পট পরিবর্তনের সুযোগে বনবিভাগের জায়গায় নতুন করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে।

বিষয়টি জানার পর জবরদখলদারদের বরাবর নোটিশ প্রদান করে বনবিভাগ। উখিয়া সদর বিট কর্মকর্তা আবদুল মান্নান স্বাক্ষরিত নোটিশের কোনো জবাব না দেওয়ার ফলে নিশ্চিত হয়ে অভিযান পরিচালনা করে বনবিভাগ। অভিযানের সময় পাকা ও আধা পাকা দালান গুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসময় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারীদের কঠোর সতর্কবার্তা প্রদান করে বনবিভাগ। উচ্ছেদ অভিযান শেষে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করে জবরদখল না করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান,”অবৈধভাবে বনভূমি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণকারীদের বরাবর নোটিশ প্রদান করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ১৫দিনেও নোটিশের কোনো জবাব না দিয়ে বনবিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রাখে। তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে জানতে পারি বনভূমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান পরিচালনা করে পাঁচটি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। বনভূমি জবরদখল না করতে সতর্কীকরণ সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। জবরদখলদারদের প্রতি একটাই সতর্কবার্তা সেটা হচ্ছে যতবড় পরিচয় থাকুক না কেনো অবৈধভাবে বন দখল করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উখিয়া রেঞ্জে জবরদখল প্রতিরোধে অভিযানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।” অভিযানে থাইংখালী বিট কর্মকর্তা বিকাশ দাশ, দোছড়ি বিট কর্মকর্তা ইমদাদুল হাসান রনি, বিশেষ টহল দলের ক্যাচিং মারমা, জালিয়াপালং বিট কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান সহ স্টাফ,সিপিজি সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর