গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে খাদ্যগুদাম থেকে ভিজিএফ কর্মসূচির খাওয়ার অযোগ্য ও নিম্নমানের চাল সরবরাহ করার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে উপজেলার ভাটিয়াপাড়া খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা এসব চাল বিতরণ করা হয় সদর ইউনিয়নে বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্র মানুষের মাঝে। এ ঘটনায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য এবং উপকারভোগীদের মাঝে।
জানা গেছে, এবার ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কাশিয়ানী উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের ১৩ হাজার ১৭৫টি হতদরিদ্র পরিবারের জন্য ১০ কেজি করে মোট ১৩১ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ভাটিয়াপাড়া খাদ্যগুদাম থেকে উপজেলার ৭ ইউনিয়নে চাল সরবরাহ করা হয়। এ খাদ্যগুদাম থেকে সরবরাহ করা অধিকাংশ বস্তার চালই পুরানো, পোকায় খাওয়া ও দুর্গন্ধযুক্ত। তাই খাওয়ার অযোগ্য চাল উত্তোলন করে তা বিক্রি করে দিয়েছেন অনেকেই।
ভিজিএফ কার্ডধারী নার্গিস বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের যে চাল দিয়েছে তা পোকায় খাওয়া, অনেক গন্ধ। ভাত রেধে খাওয়া যায় না। বাড়িতে এনে হাস-মুরগিকে খাওয়াচ্ছি।’
অভিযোগ রয়েছে, কাবিখা-কাবিটাসহ বিভিন্ন সরকারি কর্মসূচির ডিও (ডেলিভারি অর্ডার) যেসব ব্যবসায়ী কিনেন, তারা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ও সরদারদের টনপ্রতি উৎকোচ দিয়ে ভালো মানের চালগুলো নিয়ে বাজারে বিক্রি করেন। আর নিম্নমানের খাওয়ার অযোগ্য চালগুলো দরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
কাশিয়ানী সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ আলী খোকন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘খাদ্যগুদাম থেকে খুবই নিম্নমানের চাল সরবরাহ করা হয়েছে। এ চাল মানুষ খেতে পারবে না। বিষয়টি ইউএনও স্যার নিজেই দেখেছেন। ভবিষ্যতে এ ধরণের চাল সরবরাহ না করার জন্য খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে সতর্ক করেছেন ইউএনও স্যার।’
ভাটিয়াপাড়া খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মিজানুর রহমান মৃধা নিম্নমানের চাল সরবরাহের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ভালো-মন্দ বুঝি না। গুদামে যে চাল ছিল, সেটাই আমরা সরবরাহ করেছি।’
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা জান্নাত ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘খাদ্যগুদাম কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে।’
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-