সিবিএন মাল্টিমিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদ সম্পর্কে নিখিলের বিবৃতি

বার্তা পরিবেশক :

গত ১৫ মার্চ রাতে কক্সবাজারের ‘সিবিএন মাল্টিমিডিয়ায়’ ‌’হাসপাতাল সড়কে আতংক, যুবলীগের ক্যাডার, মোস্ট ওয়ান্টেড আসামী, আবদুল হাকিম নিখিলের সশস্ত্র মহড়া’ শিরোনামে প্রচারিত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়ে একজন পল্টিবাজ অপরাধীর ভাষ্যে কোন প্রমাণ ছাড়া আমাকে জড়িয়ে সশস্ত্র মহড়ার কথা এভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার কখনো আইনসিদ্ধ হয়নি। আমি এমন অপপ্রচারের প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

কারণ, আমার অতীত ও চলমান জীবনে আওয়ামী যুবলীগ বা অন্যকোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ততা ছিলনা এবং নেইও। এরপরও আমাকে বিতর্কিত করতে যুবলীগের ক্যাডার, মোস্ট ওয়ান্টেড উল্লেখ করা হয়েছে। যা, সত্যি কষ্টদায়ক।

আসল ঘটনা হলো, কক্সবাজার পৌরসভার ১০নং ওয়ার্ডের হাসপাতাল সড়কের বঙ্গপাহাড় এলাকার প্রণব ধরের স্ত্রী রত্না ধর প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন, তার স্বামী পৈত্রিক ভাবে পাওয়া আবাসিক ভবন ও দোকানপাট তার ছোট ভাই (দেবর) দস্যু স্টাইলে ভোগ দখল করে তাদের বঞ্চিত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাকে সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে সহযোহিতা করছে, একই এলাকার সন্ত্রাসী ও ভাড়িাটিয়া দখলকার হিসেবে পরিচিত নুরুচ্ছফা মো. সাগর (পিতা মৃত মো. কালু ওরফে গাঁজা কালু)। তাদের নিপীড়ন সইতে না পেরে, একই এলাকার বাসিন্দা হিসেবে রত্না ধর বিষয়টি আমাকে (নিখিল) অবহিত করেন। আমি সংখ্যালুঘু সম্প্রদায়ের পারিবারিক সমস্যায় ভাড়াটিয়া খেটে ঝামেলা না পাঁকাতে সাগরকে অনুরোধ করি। আমার এ কথা সাগর ভালো ভাবে গ্রহণ না করে আমাকে নানা মামলায় জড়ানোর ফন্দি আঁটে। নানা জায়গায় উল্টো আমাকে দখলবাজ ও ইয়াবা কারবারি হিসেবে উপস্থাপন করছে বলে খবর পায়। এর মাঝে সাগরের সাথে আমার দেখা-সাক্ষাত হয়নি। কিন্তু ১৪মার্চ রাতে এলাকার সড়কে হঠাৎ মোটর সাইকেল করে যাবার কালে সাগর আমার সামনে পড়লে অপপ্রচার ও প্রপাগান্ডা ছড়ানোর বিষয়ে জানতে সাগরকে থামানো হয়। সে গাড়িতে থাকা অবস্থায় আমার সাথে তর্কে জড়ালে এলাকার এক বন্ধু বাচ্চার জন্য গেঞ্জি কিনে শপিংয়ে মুড়িয়ে যাবারকালে আমাদের তর্ক দেখে এগিয়ে আসে।

এসময় সাগর মোটর সাইকেল থেকে নেমে পালাতে চাইলে আমার সেই বন্ধু তার শপিংটি আমার হাতে দিয়ে সাগরকে পেছন থেকে ঝাঁপটে ধরে। সাগর নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে পাশের দোকানে ঢুকে যায়। নিজের ভেতর অপরাধবোধ না থাকলে সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতো সাগর। অন্যের দোকানের ভেতর না ঢুকে বাইরে দাঁড়িয়ে তার সাথে কথা বলছিলাম আমি। এসময় বন্ধুর দেয়া শপিং ব্যাগসহ হাত নেড়ে কথা বলা হচ্ছিল। আর রাজনৈতিক পল্টিবাজ সাগর হাতের শপিংকে অস্ত্র উল্লেখ করে তাকে হত্যা করতে চেষ্টা চালিয়েছি বলে অপপ্রচার চালিছে। তার কথা ফেরেশতার মতো বিশ্বাস করে প্রচারও করেছে উক্ত মাল্টিমিডিয়া। সাথে আমাকে তার নিজের মতো চিন্তা করে ইয়াবা কারবারির তকমাও দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। অথচ, এ সাগর তার বাবার মতো মাদক ব্যবসা ও সেবন করে বেসামাল জীবন কাটিয়েছে। তিনি বহুসময় মাদক নিরাময় কেন্দ্রে অব্স্থান করার নজির রয়েছে। আর আমি ২০১৮ সাল হতে ২০২২ সাল পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন কাটিয়ে সঞ্চিত অর্থ নিয়ে দেশে আসি। এরপর ব্যবসা বাণিজ্য করে পরিচ্ছন্ন জীবন কাটাতে চেষ্টা চালিয়ে আসছি। পাশাপাশি এলাকার যেকোন অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলায়, স্বার্থন্বেষীদের অপবাদের শিকার হচ্ছি।

তাই, সামগ্রিক বিষয় পর্যালোচনা করে- নব্বই দশক হতে অপরাধের সাথে জড়িত সাগরের অপপ্রচারে প্রশাসনসহ কাউকে বিব্রত না হতে অনুরোধ জানাচ্ছি।

  • বিনীত-
    আবদুল হাকিম নিখিল
    পিতা- মোহাম্মদ হোসেন
    ১০ নং ওয়ার্ড, কক্সবাজার পৌরসভা।

আরও খবর