সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক হুইপ ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীর সাথে সিসিএনএফ-এর রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় করণীয় সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৪ জানুয়ারি (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাতটার দিকে কোস্ট ফাউন্ডেশন-এর কক্সবাজার কেন্দ্রে সিসিএনএফের সদস্যভুক্ত বিভিন্ন এনজিও’র ৪২জন প্রতিনিধি নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শাহজাহান চৌধুরী তাঁর বক্তব্যে বলেন, স্থানীয় এনজিওগুলো স্থানীয় মানুষের সমস্যাগুলো খুব দ্রুত চিহ্নিত করতে পারে। আমাদের সকলের উচিত টেকসই এবং দীর্ঘস্থায়ী প্রত্যাবাসনের পরিকল্পনা করা। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর টেকসই প্রত্যাবাসনের কোন বিকল্প নেই। জাতীয় স্বার্থে স্থানীয় এনজিওগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকা খুবই জরুরী, রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলার পাশাপাশি স্থানীয়দের জীবনমান উন্নয়নে ও এনজিওগুলোর নজর দিতে হবে। কারণ স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হলে উভয় জনগোষ্ঠীর সামাজিক সম্পর্ক ধরে রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়বে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে সিসিএনএফ-এর কো-চেয়ার রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, দিন যত যাচ্ছে ক্যাম্পসহ উখিয়া-টেকনাফের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় ব্যবস্থাপনা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে, মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় এবং জাতীয় এনজিওগুলো, ইউএন এজেন্সি এবং আইএনজিও গুলোর নজর দেয়া উচিত ফান্ড সংগ্রহ এবং স্থানীয় ও জাতীয় এনজিও গুলোর দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে।
অগ্রযাত্রার সভাপতি নীলিমা আক্তার চৌধুরী বলেন, জেআরপি বাস্তবায়নের আগে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের এনজিওসহ গুরুত্বপূর্ণ স্টেকহোল্ডারদের এই প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করা।
জাগো নারীর প্রধান নির্বাহী বলেন, কক্সবাজার জেলায় এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর নিবন্ধন প্রক্রিয়া থুবই জটিল, এই প্রক্রিয়াকে সহজীকরণ করা এখন সময়ের দাবি হয়ে পড়েছে।
হেলপ কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, প্রতিবছর দাতা সংস্থার অর্থ সহায়তা কমে যাচ্ছে, এভাবে অর্থ সহায়তা কমতে থাকলে রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলা করা জটিল হয়ে পড়বে। দাতা সংস্থাগুলোর উচিত ফান্ড সংগ্রহে আরো জোরালো ভূমিকা পালন করা।
পালস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক কলিম বলেন, ২০১৭ সালের রোহিঙ্গা আগমনের ফলে ব্যাপক হারে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটেছে উখিয়া টেকনাফ তথা কক্সবাজারে। এনভাইরন্টমেন্ট রিকভারি ফান্ড গঠন করা এখন সময়ের দাবি হয়ে দাঁডিয়েছে, এক্ষেত্রে জাতিসংঘের এজেন্সি ও আন্তর্জাতিক এনজিও গুলোর ভূমিকা জরুরি।
উক্ত আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে কোডেক, ইপসা, নওজোয়ান, আসিয়ান, এসবিএসকেএস, সেভ দা কিডস, অপকা, সিএনএস, জ্যাকলিন ফাউন্ডেশন, ওয়েট এন সি, নোঙ্গর, মুক্তি কক্সবাজার, সেইভ, সিএইচআরডিএফ, স্টেপ ফর হিউম্যানিটি, আনন্দ, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও নান্দনিকসহ অন্যান্য প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
এদিকে, সিসিএনএফ এর গত পাঁচ বছরের কার্যক্রমের একটি ভিডিও সকলের কাছে তুলে ধরেন সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ) এর সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম। সর্বশেষে সিসিএনএফ এর কো- চেয়ার রেজাউল করিম চৌধুরী সকলকে নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ জানিয়ে সভার সমাপ্তি করেন।
প্রতিদিনের খবরগুলো আপনার ফেসবুক টাইমলাইনে পেতে নিচের লাইক অপশনে ক্লিক করুন-